বিএনপির জামালের ওপর হামলা: ঝালকাঠিতে আমুর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: শনিবার ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
বিএনপির জামালের ওপর হামলা: ঝালকাঠিতে আমুর বিরুদ্ধে মামলা

ঝালকাঠিতে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এবং জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকারসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঝালকাঠি দ্রুতবিচার আদালতে মিনার মাহমুদ জুয়েল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মিনার মাহমুদ জুয়েল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের ছোট ভাই। 


মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৭ আগস্ট ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে আমির হোসেন আমুর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়। হামলাকারীরা জামালের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, যার ফলে বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয় পথচারীরা আহত হয়। 


মামলায় আমির হোসেন আমুকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে এবং ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকারকে ৪ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি ও রাজাপুরের যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আরও ৪১ জনের নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


মামলার বাদী জুয়েল অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় এতদিন মামলা করতে পারেননি। হামলায় তার ভাইসহ বিএনপির বহু নেতাকর্মী আহত হন এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। 


এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকার বলেন, "দলের দুঃসময়ে আমি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।" 


ছাত্রদলের জেলা সভাপতি আরিফুর রহমান খান বলেন, মামলাটি পারিবারিকভাবে করা হয়েছে, দলীয়ভাবে নয়। তবে একজন ছাত্রদলের নেতা হিসেবে বিত্তয় কুমারের নাম আসামি হিসেবে থাকা দুঃখজনক। এই বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করা হবে। 


ঝালকাঠি থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে এখনো মামলার কাগজ হাতে পাননি।