ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত শ্রী জয়ন্তের (১৫) লাশ অবশেষে দুদিন পর পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন জয়ন্ত কুমার।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে নিহত জয়ন্তের লাশ ফেরত দেওয়া হয়। জানা গেছে, মূলত সন্ধ্যার পর লাশ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিএসএফ দেরি করে রাত দেড়টার দিকে মরদেহটি হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি ও পুলিশ নিহতের পরিবারকে লাশটি তুলে দেন। রাত আড়াইটার সময় জয়ন্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
মরদেহ ফেরতের সময় বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত দিবাকর অধিকারী, এসআই শামীম, ধনতলা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম ও নিহত জয়ন্তের চারজন প্রতিবেশী উপস্থিত ছিলেন।
৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজির আহম্মদ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "বিএসএফ জয়ন্তের লাশ ফেরত দিয়েছে এবং তারা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য দুই পক্ষই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।"
উল্লেখ্য, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকায় ১৮ জন রোহিঙ্গা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করে। ভারতের ডিঙ্গাপাড়া বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে নিহত হয় জয়ন্ত কুমার। আহত হন তার বাবা মহাদেব চন্দ্র ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন। পরবর্তীতে বিএসএফ নিহত জয়ন্তের মরদেহ নিয়ে যায়।
নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের মহাদেব চন্দ্রের ছেলে এবং লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আহত দুজন হলেন মহাদেব চন্দ্র ও দরবার হোসেন, যাঁরা নিটালডোবা গ্রামের বাসিন্দা।
এই ঘটনায় সোম ও মঙ্গলবার দুই দেশের বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কমান্ডারদের চারটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি সীমান্ত হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।