শৈলকুপার ভোটরঙ্গ “ফুলকপি যখন ট্রাকে”

নিজস্ব প্রতিবেদক
আতিকুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৮ অপরাহ্ন
শৈলকুপার ভোটরঙ্গ “ফুলকপি যখন ট্রাকে”

খবরের শিরোনাম দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন ফুলকপি হয়তো ট্রাকে বহন করা হচ্ছে। আসলে বিষয়টি তেমন নয়। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিক ফুলকপি ও ট্রাক। প্রতিদ্বিন্দি এই দুই প্রার্থী আবার স্বামী-স্ত্রীও। ভোটের লড়াইয়ে স্বামী-স্ত্রী মাঠে নামলেও, ভোট চাওয়ার কৌশল ভিন্ন। 


এই দুই প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী হলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বতন্ত প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল ও তার স্ত্রী মুনিয়া আফরিন। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। অন্যদিকে স্ত্রী মুনিয়া আফরিনের প্রতীক ‘ফুলকপি’। 


নির্বাচন প্রচারাভিযানে দেখা যায় নিজে প্রার্থী হলেও স্বামী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে ভোট চাইছেন স্ত্রী মুনিয়া আফরিন। দিনরাত করছেন উঠান বৈঠক। স্বামীর পক্ষে ভোট চাওয়া স্ত্রী মুনিয়া আফরিনের এমন কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 


শৈলকুপার কাঁচেরকোল এলাকায় দেখা যায় স্বামীর ট্রাক প্রতীকের পোস্টার বিলি করে ভোট চাচ্ছেন মুনিয়া আফরিন। তাতে দেখা যায় মুনিয়া স্বামীর ট্রাক প্রতিক প্রদর্শন করে পোজ দিচ্ছেন। লাঙ্গলবাঁধ এলঅকার রহিমা বেগম নামে এক নারী জানান, মুনিয়া নিজে প্রার্থী তবুও স্বামী নজরুল ইসলামের জন্য ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী। এটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। 


কমলা বানু নামে ধলহরাচন্দ্র এলাকার এক গৃহবধু জানান, স্বামীর প্রতি মুনিয়ার এই ভালোবাসা ও প্রার্থীতা কোরবানীর দৃশ্য ভোটারদের সাড়া জাগিয়েছে। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিন জানান, ‘আমি নিজের জন্য প্রচারণা করছি, সঙ্গে স্বামীর পক্ষেও। প্রথম দিনে শৈলকুপার ভাটই এলাকায় নারীদের কাছে স্বামীর জন্য ভোট চেয়েছি। শৈলকুপার হাবিবপুর গ্রামে করেছি উঠান বৈঠক’। 


তিনি বলেন, ‘স্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব আছে। আমি নিজের পাশাপাশি স্বামীর জন্যও মানুষের কাছে যাচ্ছি। ভোটাররা যাকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দেবেন। কেননা শৈলকুপার ভোটাররা পরিবর্তন চাই।’ তাই পরিবর্তনের জন্য আমি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে। 


এদিকে নিজে প্রার্থী হয়ে স্বামীর পক্ষে স্ত্রীর এই প্রচরণা শৈলকুপা জুড়ে বেশ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। গ্রামে গ্রামে মহিলা ভোটাররা মুনিয়াকে বেশ ভালো ভাবেই বরণ করে নিচ্ছেন।