তাহিরপুরে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নিলেন প্রথম স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভোর অভিযুক্ত স্ত্রী জহুরা(২৫)’কে আটক করেছে পুলিশ। এবং রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামী আজিজুল মিয়া(৩০) ‘কে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসাপাতালে ও পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমনি মেডিকেল কলেজ স্থানাস্তর করা হয়েছে।
অভিযুক্ত স্ত্রী জহুরা আক্তার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শাহনুর মিয়ার মেয়ে। আহত স্বামী আজিজুল মিয়া একই গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে।
জহুরা ও আজিজুল তারা দুজন নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই জহুরা তার বাবার বাড়িতেই থাকে সে তাহিরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকুরি করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের শাহনুরের মেয়ে জহুরা বেগম (২৫) এর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকমাস পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরে আজিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে মামলাও করেন প্রথম স্ত্রী। স্ত্রীর করা মামলায় আজিজুল জেল হাজত কেটে জামিনে বেরিয়ে আসে। আরও জানা গেছে, দ্বিতীয় বিয়ের পর আজিজুল প্রথম স্ত্রী জহুরাকে ডিভোর্স দেয়। কিন্তু জহুরা দাবি করেছে, তাদের মধ্যে কোনো ছাড়াছাড়ি হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ের পরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো আজিজুল। প্রথম স্ত্রীর করা মামলায় কিছুদিন জেলও কেটেছে আজিজুল। ঘটনার দিন জহুরাকে বলেই রাতে তার বাড়িতে যায় আজিজুল। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে ব্লেড দিয়ে এ ঘটনা ঘটায় জহুরা তাহার স্বামী আজিজুলের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে।
এ ঘটনায় জহুরার বাবা শাহনুর মিয়া বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর মেয়েকে আজিজুল যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না পেয়ে মেয়েকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো সে। এর মাঝে আজিজুল কিছু না জানিয়ে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। ঘটনার রাতে আমরা ঘুমে ছিলাম।
বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।