“এসো হাতে রাখি হাত, কাঁধে মিলাই কাঁধ,
উৎসবে মেতেছি আবার, আমরা দাখিল ২০০৪”
বন্ধু আব্দুর রাজ্জাক রাজু‘র কথা ও সুরে চমৎকার এই গানের রেশ ধরেই প্রতিবারের ন্যায় এবারের মিলন মেলার জমকালো উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা কেরানীগঞ্জের উলুখোলা আনোয়ার সিটি ম্যাজিক আইল্যান্ডে। বর্ণিল এ আয়োজনে দাখিল ২০০৪ সালে পাশ করা বন্ধুরা অংশগ্রহণ করেছে তাদের পরিবারসহ। ছোট্ট সোনামণীদের জন্য মজাদার ও আনন্দদায়ক বিভিন্ন রাইড ছিলো এই ম্যাজিক আইল্যান্ডে তবে অনেক বন্ধুরাও এই রাইড গুলো উপভোগ করেছে দারুন ভাবে।
বন্ধুদের জন্য ছিলো স্বপরিবারে ওয়াটার পার্কে গোসলের সু-ব্যবস্থা। এ ছাড়াও বন্ধু মাহিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবার আস্তো ১ টা বড়ো গোরু দিয়ে আনলিমিটেড মেজবানি খাওয়ার ব্যবস্থা ছিলো ভরপুর। সবাই যথাটাইমে সারিবদ্ধ ভাবে খাবার গ্রহণ করেছে অত্যন্ত শৃংখলার সাথে। ফুড টোকেনের মাধ্যমে দুপুরের মেজবানীখানার সাথে ছিলো পিঠা ও কপি খাওয়ার দারুন ব্যবস্থা।
ভাবিদের জন্য অর্ধেক প্যান্ডেলে ছিলো খাওয়ার ও বসার পরিকল্পিত ব্যবস্থা সাথে নামাজ ও বেবীদের সুরক্ষারুম। এ ছাড়াও বেবীদের দৌড় প্রতিযোগিতা বন্ধুদের মিনি ক্রিকেট খেলার আয়োজনটা ছিলো দারুন উপভোগ্য বিষয়। হাত ঘুরিয়ে চাক বলার মারার দৃশ্য, ছোট বেলায় উচুনিচু মাঠে, কাঠের তৈরী ব্যাট, আর গাছের ডালের স্ট্যাম্পের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলোকে। এই খেলার মাধ্যমে আমরা কিছু হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেটার খুঁেজ পেয়েছি যারা মাঠে নয় মাঠের বাইরে দারুনভাবে ব্যাট বল হাকাতে পারে।
পুরো আয়োজনকে মাতিয়ে রাখার দায়িত্বটা খুব ভালোভাবেই পালন করেছে শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক রাজু, ক্বারী এনায়েত উল্লাহ সাইফী ও মাসুদ আলম, শিশু শিল্পী ফাইরুজা ফাইহা, রদিয়া, রওনক ও ছিলো এই তালিকার জনপ্রিয় শিল্পী।অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষন ছিলো জনপ্রিয় শিল্পী ওবায়েদুল্লাহ তারেক, কলরবের শিশু শিল্পী হুজাইফা ইসলাম ও শিল্পী ইকবাল মাহমুদ।
এ বছরের আয়োজনে সবাই সম্মিলিত পরিশ্রম করেছে তথাপিও প্রথম মিলনমেলার আহবায়ক সুপ্রিমকোটের আইনজীবী বন্ধু ফয়জুল্লাহ ফয়েজ, ২য় বছর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা আবুল হাসেম রাশেদ এ বছর আহবায়ক হিসেবে দায়িত্বপালন করেছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বন্ধু মোহাম্মাদ কাউসার সদস্য সচিব ছিলেন আইনজীবী বন্ধু সগীর আহমাদ।প্রোগ্রাম উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলো ৩ শক্তিশালী বন্ধু তানভীরুল ইসলাম মহসিন, আব্দুর রাজ্জাক রাজু ও মনোয়ার রনি।
প্রোগ্রামের প্রাণশক্তি স্পন্সর, আর এই স্পন্সর নিয়ে ব্যাপক পরিশ্রম করেছে বন্ধু আবুল হাসিম রাশেদ, তানবিরুল ইসলাম মহসিন, মোঃ সালাহউদ্দিন, ফয়সাল মাহফুজ, আবু বকর সিদ্দিক ও রেদোয়ান উল্লাহ। বন্ধুদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল টাইটেল স্পন্সর রোব বাংলাদেশ, পাওর্য়াড বাই সুফি গ্রুপ, প্লাটিনাম ভিআইপি ল্যান্ডমার্ক, ডায়মন্ড স্পন্সর পিসিএল প্রোর্পাটিজ, গোল্ড স্পন্সর বেষ্ট ড্রাই ও সিলভার স্পন্সর ছিলো ফেইথ কর্পোরেশন, মহাসাগর ডটকম, ব্লুটুথ ডেন্টাল এবং সিয়াম গ্রুপ।
আনোয়ার সিটি ম্যাজিক আইল্যান্ডের মত একটি সজিব ও সতেজ প্রাকৃতিক ভেন্যু র্নিধারণ করেছে বন্ধু পুলিশ কর্মকর্তা গুণী ব্যক্তিত্ব নানান গুনে গুনান্বিত এস আই অলিউল্লাহ, ফয়জুল্লাহ ফয়েজ ও আমানুল্লাহ খান নোমান।
লাইট, সাউন্ড ক্যামেরা, এল ই ডি স্ক্রিন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গুরু দায়িত্বে ছিলো ভোজন রশিক তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাহিন সোহগ ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক, সংগীত প্রিয়, সদা হাস্যেজ্জল ব্যক্তিত্ব আবুল হাসেম রাশেদ ও কন্ঠশিল্পী, দাখিল ২০০৪ গানের গীতিকার ও সুরকার আব্দুর রাজ্জাক রাজু।
যাদের অবদান ছিলো চোখে পড়ার মত যাদের কথা না বললেই নয় বন্ধু আনিসুর রহমান, ওয়ালী উল্লাহ রাসেল, জাবির ফারাহ, মিজানুর রহমান, আসাদুজ্জামান, ইলিয়াস মাহমুদ নিরব নুরুজ্জামান সউদ, সালাউদ্দিন ও আতাউল্লাহ শাহেদসহ সমগ্রবন্ধু দাখিল ২০০৪ বাংলাদেশ।জমকালো এই আয়োজনের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছে মহাসাগর আইটি সলুশনস লিঃ এবং ব্যবস্থাপনায় ছিলো পিসিএল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।