লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যুর পর আহত ছেলে তৌহিদও মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে ওই উপজেলার বুড়িমারী-পাটগ্রাম রেলপথের ঘুণ্টি নামক এলাকায় এ দুঘর্টনা ঘটে। ঘটনাস্থলে মা ও মেয়ের মৃত্যু হলেও ছেলে তৌহিদ গুরুতর আহত হয়। এক সাথে মা-মেয়ে-ছেলের মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি আত্মহত্যা কিনা এ নিয়ে ধুম্রজাল দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে সুমি তার দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। নিহতরা হলেন- ওই উপজেলার ধবলসুতি রহমানপুর এলাকার রাশেদুজ্জামানের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৬), তার মেয়ে তাসমিরা তাবাসুম তাসিন (৬) ও ছেলে তৌহিদ (২)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরগামী একটি ট্রেন ঘুণ্টি নামক এলাকায় ট্রেনের নিচে মা ও তার ছেলে-মেয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে মা সুমি বেগম ও মেয়ে তাসমিরা তাবাসুম তাসিনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এতে ছেলে তৌহিদ গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এক সাথে মা-ছেলে ও মেয়ের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন ঘটনাস্থল থেকে তার বাড়ির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। ওই এলাকায় ছেলে-মেয়েদের সাথে নিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ তারা দেখছেন না। একটি সূত্র জানায়, সুমি আক্তার তার মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী রাশেদুজ্জামানের সাথে ঝগড়া হয় সুমি আক্তারের। ওই সূত্রটি আরও জানান, ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুমির শাশুড়ি (রাশেদুজ্জামানের মা) সুমিকে মারধরও করেন। সকালে ওই ঘটনার জের ধরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সুমি আক্তার।
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি, সুমি আক্তার তার মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পারাপারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে তারা আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে হচ্ছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।