ভূরুঙ্গামারীতে ভূমি কর্মকর্তা না থাকায় জনভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৯শে নভেম্বর ২০২২ ০৬:০৭ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে ভূমি কর্মকর্তা না থাকায় জনভোগান্তি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা না থাকায় জমির খাজনা দেওয়া, জমি খারিজ করা ও জমির খতিয়ান উত্তোলন করা সহ জমি সংক্রান্ত সেবা পেতে ইউনিয়নবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রায় তিন মাস যাবত অফিসে আসছেন না ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আমির হোসেন।


স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে ভূমি অফিসের প্রায় অর্ধ লাখ টাকা সহ স্থানীয় কয়েকজনের নিকট থেকে জমির কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার আশ্বাসে আরও প্রায় চার লাখ টাকা নিয়ে অফিসে আসা বন্ধ করে দেন আমির হোসেন। এতে প্রায় তিন মাস যাবত ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছেন না জমির মালিকরা। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমির হোসেনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি সেই নোটিশের জবাব না দিয়ে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন।


আরও জানাযায়, আমির হোসেনের বিরুদ্ধে তার পূর্বের কর্মস্থলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলা হয়েছিল। এতে তাকে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পদ থেকে পদাবনতি দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা করে ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিযুক্ত করা হয়।


পাথরডুবি ইউনিয়নের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, জমি খারিজ করতে প্রায় নয় মাস আগে তহশিলদারকে (ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা) ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। খারিজের খবর নাই। তিন মাস যাবত তিনি অফিসেই আসছেন না।


আবুল কাশেম বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে জমি খারিজ করতে তহশিলদারকে টাকাপয়সা দিয়েছি। তহশীলদার না থাকায় খারিজ আটকে রয়েছে।'

ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘খাজনা দিতে এসেছি। অফিস বন্ধ থাকায় খাজনা দিতে পারলাম না।'


পাথরডুবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর জানান, ‘ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা না থাকায় পাথরডুবি ইউনিয়নের মানুষকে প্রায় তিন মাস যাবত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখানে দ্রুত একজন কর্মকর্তা নিয়োগের দাবী জানাচ্ছি।'


সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিদুল ইসলাম প্রশিক্ষণে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ‘আমির হোসেনকে দু’বার শোকজ করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।'