তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলোপাতাড়ি কোপালো সন্ত্রাসীরা, আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
নেছার উদ্দিন খান, স্টাফ রিপোর্টার, সাভার:
প্রকাশিত: সোমবার ২৩শে মে ২০২২ ০২:৫০ অপরাহ্ন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলোপাতাড়ি কোপালো সন্ত্রাসীরা, আহত ৫

সাভারের আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে চলাচলরত সাধারণ ৫ জন  মানুষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেছে বরে যানা যায় সন্ত্রাসীরা।আহতদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এনাম মেডিকেল কলেজ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। 


সোমবার (২৩মে)সকালে কোপানোর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এরআগে, গতকাল (২২মে)রাতের দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় শাপলা বিল্ডিং এর মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। 


সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতরা হলেন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার দিঘলীয়া গ্রামের মোঃ মসিউর রহমানের ছেলে মো. রাতুল শেখ(১৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আব্দুল হকের ছেলে রজব আলী (২২),   সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার খইচালা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে পিকআপ চালক আইয়ুব আলী (২১) ও তার সহযোগী ইয়াসিন (১৮), সারোয়ারের ছেলে গাড়ীর হেলপার হানিফ (১৮)।


অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়ার জামগড়া চিত্রশাইল কাঠালতলা এলাকার মতিন প্রধান ও তার ৪ ছেলে খলিল প্রধান, অলীল প্রধান,  মহসিন প্রধান, ওয়াসিম প্রধান, মোশারফ প্রধান, মোশারফ প্রধানের ছেলে আনাস প্রধান, সোহাগ, আল-আমিন, রিফাত,  রাব্বী, নাইমুর রহমান রাব্বীসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জন।


স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, রাতুল ও রজব আলী আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ব্রুকহিল মার্কেটের নিকট মীম ফুড বেকারীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। রোববার ওই এলাকায় দোকানে বাকি টাকা তুলতে গেলে কয়েকজন তাদের উপর রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। এতে রাতুল এক কোপ খেয়ে পালিয়ে গেলেও রজব কোপের আঘাতে ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।


আহতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করেন। একই ভাবে পিকআপ চালক আইয়ুব ও ইয়াসিন কোপায় তারা পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। অন্যদিকে হানিফকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তার একটি পা অপারেশন করে বাদ দিতে হবে বলে জানা গেছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এর আগে এক মেয়ে ইভটিজিং করে সোহাগ নামে এক ছেলে। পরে সেই মেয়ের ভাই সোহাগকে এ ব্যাপারে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে গত শনিবার রাতে শুনেছি এক ধাপ মারামারি হয়েছে। আজ রোববার তার জের ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা বেপরোয়া হয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাদেরই কুপিয়েছে। আধিপত্য বিস্তার করতেই এই ঘটনা ঘটিছে ওই প্রধান পরিবার। 


আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তদন্ত চলছে এখন আর কিছু আপাতত বলা যাবেনা। তবে কি কারণে তাদের কোপানো হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত না। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক অভিযোগ নেওয়া হবে।