হত্যার ৪ দিনেও হয়নি মামলা, পুরুষশূন্য অর্ধেক গ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম সিদ্দিক জান্টু, জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে জানুয়ারী ২০২২ ০৭:২৫ অপরাহ্ন
হত্যার ৪ দিনেও হয়নি মামলা, পুরুষশূন্য অর্ধেক গ্রাম

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমিরুল ইসলাম হত্যার চার দিন পার হলেও থানায় এখনো কনো মামলা হয়নি বলে জানান, কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার। শুক্রবার দুপুরে তিনি বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন।রাতে মামলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।


এদিকে, হত্যার ঘটনায় হামলা ও মামলার ভয়ে পাহাড়পুর গ্রামের অর্ধেক পরিবার পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। অনেকেই সপরিবারে গ্রামছাড়া। পুরুষশূন্য পরিবারের নারীও হামলা ও ভাঙচুরের ভয়ে ঘরের আসবাবপত্র ও গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে অন্য গ্রামের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে নিরাপদে চলে যাচ্ছেন। 


শুক্রবার সকালে পাহাড়পুরে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান পরিবেশ। মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশের অবস্থান। মাঝে মাঝে টহল দিচ্ছে তারা। গ্রামের অর্ধেক অংশেই নেই পুরুষ। বেশ কিছু ঘরবাড়িতে কোনো সদস্যই নেই। কয়েকজন নারী ঘরের আসবাবপত্র ও গবাদিপশু নিয়ে চলে যাচ্ছেন অন্য গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে। 


এ সময় নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন নারী বলছেন, এলাকায় খুন হয়েছে। হামলা ও মামলার ভয়ে পুরুষেরা পালিয়েছেন। আমরাও জান ও মালের নিরাপত্তার জন্য আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাচ্ছি। পরিবেশ ঠিক হলে আবার ফিরে আসব।


পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার, সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।


এ ঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল ২৮ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তারের সেই সঙ্গে প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় অর্ধশতাধিক পরিবার। ওই ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। 


নিহতের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, খুনের বদলা নিতে প্রতিপক্ষরা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। থানায় মামলা করব। আমি এ হত্যার বিচার চাই।