শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দরে পাথর ভাঙার সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রনি মিয়া (১৪) নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্দরের পাশে ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। রনি উপজেলার উত্তর কাপাশিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।
ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি কোনো কারণে খনিতে অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে যায়। ভুটান থেকে পাথর আমদানীর সময় পাথরের সাথে মিশে বোমাটি নাকুগাঁও বন্দরে চলে আসে।
আহত রনির পরিবার ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পাথর কোয়ারিতে কাজ করছিলেন রনি। বিকেল পাঁচটার দিকে পাথরের মাঝে ছোট একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মতো কিছু একটা পেয়ে কৌতুহলবশত হাতে নেন। পরবর্তীতে কাউকে কিছু না বলে বন্দরের পাশেই তার ভাড়া বাড়িতে চলে যান।
পরে ঘরে গিয়ে বস্তুটি নাড়াচাড়া করতে থাকেন। একপর্যায়ে ডিভাইসে লাগানো দুটি ক্যাবল এক সাথে লাগানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ডিভাইসটি বিস্ফোরিত হয়। এতে তখনই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। আহত রনিকে নিয়ে উত্তর কাপাশিয়া নিজ গ্রামে চলে যান তার নানী। সেখানে রনির শারিরিক অবস্থা খারাপ হলে রাত নয়টার দিকে তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মামুন বলেন, রনির বাম হাত ও পায়ে বেশি জখম হয়েছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। পরবর্তীতে বন্দরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।