ইভ্যালিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব : বিচারপতি মানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার ১৮ই অক্টোবর ২০২১ ০৩:২২ অপরাহ্ন
ইভ্যালিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব : বিচারপতি মানিক

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনায় সদ্য গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, আমি মাত্র খবর পেলাম আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এখনও আমি জিনিসটা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। 


সোমবার (১৮ অক্টোবর) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কমিটির অন্য যে চারজন সদস্য রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিজ্ঞ চার সদস্য যদি একমত হন আমরা সবাই মিলে ইভ্যালিকে একটি লাভজনক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।  


এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।এর আগে গত ১২ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি করে দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়ে বুধবার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের আদেশ দেওয়ার কথা ছিল। পরে আদেশের দিন পেছানো হয়।


এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার।


গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। ১১ অক্টোবরের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়।ইভ্যালির সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।


গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এজন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবাদীদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ইভ্যালির একজন গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।


গ্রাহকের আবেদনে বিবাদী করা হয়, ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজ্যুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।