বাঁচতে চান গলাচিপার রাজিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: বুধবার ২৮শে জুলাই ২০২১ ০৭:৪২ অপরাহ্ন
বাঁচতে চান গলাচিপার রাজিয়া

পটুয়াখালীর গলাচিপায় অসহায় মোসা. রাজিয়া বেগম (২৫) বাঁচার জন্য আকুতি জানিয়েছেন। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধুৃ. বিখ্যাত গানটি ভূপেন হাজারিকার। 




একটু সহানুভূতি পেতে চান পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া গ্রামের মো. মোতাহার হাওলাদারের মেয়ে ও মো. রাসেলের স্ত্রী। 





দীর্ঘ ৩ (তিন) বছর যাবৎ “মেরুদন্ড হাড় ক্ষয়” রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছে মোসা. রাজিয়া বেগম। এ বিষয়ে রাজিয়া বেগম বলেন, মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় হওয়ায় আমি আমার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারি না। স্বামী ও পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে পড়েছি। আমি ঢাকায় ইবনে সিনায় ডাক্তার দেখাই।





তিনি জানান, ডাক্তার ঢাকায় গিয়ে প্রায়ই চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার বসত ভিটা ছাড়া সব কিছুই বিক্রি করতে হয়েছে। এখন টাকার অভাবে ঔষধ কিনে খেতে পারছি না। 




টাকার অভাবে আমি আর চিকিৎসাও করাতে পারছি না। আমার এ চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার স্বামী একজন দিন মজুর। তিনি গরিব মানুষ হওয়ায় আমার চিকিৎসা করাতে পারছেন না। আমার একটি ছেলে রয়েছে। আমি স্বামী সন্তান সবাইকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছি। আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। 




রিজিয়া বেগম আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার দিকে একটু সদয় দৃষ্টি দিলে আমি হয়ত আরো উন্নত চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে যেতে পাারতাম। এ বিষয়ে রাজিয়া বেগমের স্বামী মো. রাসেল বলেন, আমি একজন সামান্য দিনমজুর। আমার সাহায় সম্বল যা ছিল তা সবকিছুই শেষ করেছি। এখন আমি আর কোন উপায় পাচ্ছি না।




 জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় বান্ধব সরকার। তিনি যদি আমার স্ত্রীর প্রতি একটু সদয় হন তাহলে আমার স্ত্রীকে উন্নত করাতে পারব। 




রতনদী তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা খান বলেন, অসহায় রিজিয়া বেগমকে সুস্থ করার আশায় সহায় সম্পদ যা ছিল সবই বিক্রি করে নিঃস্ব এখন দরিদ্র পরিবারটি। রিজিয়া বেগমের সাহায্যে সবাই এগিয়ে আসলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে বলে আমার মনে হয়। 




এ বিষয়ে রিজিয়া বেগমকে আর্থিক সহায়তা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার।