গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ডাক্তার না হয়েও রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দেয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৫ জুলাই) রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ইসমত আরা। দণ্ডিত ব্যক্তি উপজেলার চালাবাজার এলাকার মো. হাসান আলীর ছেলে মো. জালাল উদ্দিন (৩৮)।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. ইসমত আরা বলেন, কাপাসিয়া উপজেলায় দণ্ডিত জালাল উদ্দিন চালাবাজারে মায়া ডায়াগনিস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিক সেন্টার খুলেছেন। তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করলেও ওই ক্লিনিকে বসে শিশু ও নারীদের বিভিন্ন রোগের ব্যবস্থাপত্র দিতেন।
রোববার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় চিকিৎসা নিয়ে বের হওয়ার পর এক শিশুর ব্যবস্থাপত্র জব্দ করে ক্লিনিকে জালাল উদ্দিনকে দেখালে তা তারই দেয়া বলে স্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তি জানান ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবর্তমানে ওই শিশুকে তিনি এ চিকিৎসাপত্র প্রদান করেছেন। পরে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করেছেন তিনি ডিগ্রিপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসক নন।
২০০৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় এক কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তার না হয়েও এ ধরনের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার অভিযোগে রোববার (২৫ জুলাই) রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জালাল উদ্দিনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।