গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত পিয়ন মাসুদ রানার বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে ভূঁয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৬ লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেয়ার পর থেকে পিয়ন মাসুদ রানা অফিস না করে আত্মগোপনে থেকে অন্যত্র বদলীর চেষ্টা চালাচ্ছে।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, পিয়ন মাসুদ রানা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মনমথ গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিয়ন পদে চাকুরী দেয়ার শর্তে ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক পিয়ন মাসুদ রানা ও উপজেলার সোনারায় গ্রামের উজ্জল মিয়াসহ দুই দফায় ৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন।
এরপর টাকা গ্রহীতা দুই ব্যক্তি গত ১৫ মে একটি ভূঁয়া নিয়োগপত্র দিয়ে বাকী তিন লক্ষ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ২০ মে আরও এক লক্ষ টাকা দেয়া হয় ভূয়া নিয়োগদাতাদেরকে। এরপর গত ১ জুন মেহেদী হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিয়ন পদে যোগদানের জন্য গেলে মাসুদ রানা ও উজ্জল মিয়া তাকে ফিরিয়ে দেন। পরদিন নিয়োগপত্রের ফটোকপি নিয়ে মেহেদী হাসানের মা মিনারা বেগম সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভূয়া এবং এ সম্পর্কে কেউ কিছু জানেন না।
বাধ্য হয়ে ৬ লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়ায় ভূঁয়া নিয়োগদাতারা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। এঘটনায় চাকুরী প্রার্থী মেহেদী হাসানের মা মিনারা বেগম গত ৩০ জুন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর মাসুদ রানা ও উজ্জল মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
পিয়ন মাসুদ রানা গাইবান্ধা পৌরসভার রাজা মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মাসুদ ও উজ্জল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুজ্জামান সরকার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি পিয়ন মাসুদ রানার বিরুদ্ধে।
পিয়ন মাসুদ গত ২৩ জুন থেকে কোন ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছে। এজন্য তাকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাসুদ রানা এর আগে যেখানে চাকরী করেছে সেখানেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।