বগুড়ার শেরপুরের চকখানপুর এলাকায় অটোচালক টুটুল (১৬) হত্যা মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- প্রধান আসামী সেলিম রেজা (২৫), সবুজ আলী শেখ(৩৬) ও মাজেম আলী সরকার (৪৫)। ৫ হাজার টাকার জন্য ড্যান্ডি আঠা খাইয়ে টুটুল কে হত্যা করে বলে মুল আসামী সেলিম রেজা জবানবন্দি দিয়েছে।
২৬ জুন শনিবার দুপুরে শেরপুর থানা পুলিশ প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের হান্নান মন্ডলের ছেলে এমরান হোসেন টুটুলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের গুয়াগাছি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সেলিম রেজা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
এরই এক পর্যায়ে গত ১ মে সকালে ঘোরাফেরা করার জন্য অটোরিক্সা নিয়ে সোনামূখী বাজার এলাকা থেকে ৩০০ টাকায় ভাড়া করে। ঘুরতে ঘুরতে শেরপুরের চক কল্যানী এলাকায় অটোভ্যান রেখে বাঙালি নদী পার হয়ে খানপুর ইউনিয়নের চক খানপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের ভিতরে গিয়ে দুজনে ড্যান্ডি আঠা দিয়ে নেশা করে।
এ সময় টুটুলের ঘুমের ভাব আসলে এই সুযোগে সেলিম নতুন গামছা দিয়ে টুটুলের গলা পেচিয়ে স্বাশরোধ করে হত্যা করে। পরে অটোভ্যান নিয়ে সেলিম রেজা পালিয়ে যায়। সেই অটোভ্যানটি সুঘাট ইউনিয়নের সরিফ সুঘাট গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন শেখের ছেলে পুরাতন অটোভ্যান ক্রয় বিক্রয়কারী সবুজ আলী শেখের কাছে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
পরে ১৩ হাজার টাকায় ধুনট উপজেলার নাগেশ^রগাতী গ্রামের মৃত আবেদ আলী সরকারের ছেলে মাজেম আলী সরকারের কাছে বিক্রি করে। হত্যা মামলার হওয়ায় পর অনুসন্ধান চালিয়ে হত্যার মুল আসামী সেলিম রেজাকে ঢাকার সাভার এলাকা ও অন্য দুই আসামীকে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এবং অটোভ্যানটি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।