করোনাভাইরাস মহামারির মাঝেও বিশ্বজুড়েই মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আনন্দের মহিমায় উজ্জীবিত।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে গত বুধবার। এর আগে থেকেই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সব ধরনের সবজি কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সবজির দাম।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) গোয়ালন্দে কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এদিকে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
করোনাভাইরাসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতির প্রভাব সাধারন মানুষের মধ্যে। দেশের অর্থনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যেই গত সপ্তাহে বেড়েছে আলু, পটল, করলা, টমেটো, শিম, লাউ, কাঁচা-পাকা মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, বেগুন, লাল শাক, লাউ শাকসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল সবজির দাম। আবার দাম বাড়লেও বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই।
এদিকে দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৭০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিকেজি শসা ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, পেয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা,এবং আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে অনেক সবজি পৌঁছাতে পারছে না। ফলে দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহের সমস্যা না থাকলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বাজার করতে আসা উপজেলার জামতলা এলাকার বাসিন্দা পলাশ সেক বলেন, প্রতিবার রমজান এলেই কোনো কারণ ছাড়াই সবজির দাম বেড়ে যায়। সবজির কোনো কমতি নেই। বাজারে লকডাউনের কোনো প্রভাবও নেই। সেই হিসেবে সব সবজিরই দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব কিছুরই দাম বেড়ে গেছে। কোনো রকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
এদিকে, বাজারে মুরগির দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায়, লেয়ার ২৩০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।