টানা লকডাউনে নিম্নবিত্ত মানুষের চরম ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আব্দুল কাদের, উপজেলা প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২০শে এপ্রিল ২০২১ ০২:৩৯ অপরাহ্ন
টানা লকডাউনে নিম্নবিত্ত মানুষের চরম ভোগান্তি

কোভিট-১৯ এর সংক্রমনরোধে সরকার ঘোষিত টানা ১৭ দিনের লকডাউনে কালীগঞ্জ উপজেলার জন-জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এ উপজেলার হাট বাজার,মোকাম গুলো জন শুন্য প্রায়, নেই ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি।


লকডাউনে শ্রমজীবি, কর্মজীবি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষ গুলো পড়েছে চরম বিপাকে। একদিকে করোনা আতংঙ্ক, অপর দিকে কবে নাগাদ স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে তা নিয়ে চলছে সংশয়, আবেগ-উৎকন্ঠা।


অর্থাভাবে অনেক পরিবারে পবিত্র রমজান মাসে চলছে হা হা কার। ইঞ্জিন চালিত ব্যাটারী ভ্যান ও  ইজি বাইক চালক, খেয়া ঘাটের মাঝি, ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক, কালিগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে তালিকা ভুক্ত শত শত শ্রমিক দোকান-শো-রুমের কর্মচারীগণ সহ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দোকানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল থাকলেও নিজ পরিবারের নিত্য নৈমিত্তিক চাহিদা পূরণে হিমসিম খাচ্ছে অনেক ব্যবসায়ী।


গত বছরে করোনা কালীন সময়ে অনেক ধণাঢ্য ব্যক্তি, এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ালেও এবছর তাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সামনে ঈদুল ফিতর। হতাশাগ্রস্থ পরিবার গুলো অভাব অনাটনের কারণে পড়েছে চরম বিপাকে। এদিকে চাউলের বাজার মুল্য উর্দ্ধমুখী থাকায় ভোক্তা সাধারণ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।


ইতি মধ্যে ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হলেও চাউলের বাজারে ইতি বাচক প্রভাব ফেলেনি। সার্বিক অবস্থায় বিপন্ন জনগোষ্ঠির কল্যাণে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার সমীপে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী মহল। কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের প্রসিদ্ধ নাজিমগঞ্জ মোকামের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ কবির কাজল বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা চরম দূর্ভোগে আছি।


সংক্রমন রোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ স্বাগত জানাই। তার পরেও চলমান রোজা শেষে আসন্ন ঈদ আমাদের গোটা বছরের ব্যবসার একমাত্র অবলম্বন। তাই ব্যবসায়ী স্বার্থ রক্ষার্থে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান পাট খোলা রাখার আকুল আবেদন করছি। 


#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১