ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন!

নিজস্ব প্রতিবেদক
থানা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২০শে এপ্রিল ২০২১ ০১:৫৪ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন!

রুহিয়ায় বিয়ের দাবিতে ৪ দিন  ধরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান। জানা যায়, রুহিয়া থানাধীন ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কশালগাঁও গ্রামের আজাহারুল ইসলামের ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন‌্যা প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন ধরে অনশন করার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, একই এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র সুমনের সাথে ভূক্তভোগী  প্রেমিকা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু সুমন প্রেমিকাকে বিয়ে করতে টালবাহানা করে। উপায় না পেয়ে গত (১৭এপ্রিল) প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে চলে যায় এবং প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করে।

তারা আরও বলেন, বিষয় টা সামাজিক ভাবে সমাধানের জন্য গত (১৮এপ্রিল) রাতে  স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্ব নাথ এবং স্থানীয় গণ‌্যমান‌্য ব্যক্তিবর্গ আলোচনায় বসেন কিন্তু প্রেমিক সুমনের পিতা কোন সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়ার কারণে প্রেমিকা আবারও প্রেমিক সুমনের বাড়িতে অবস্থান করেন।

প্রেমিকার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুমনের সাথে আমার দীর্ঘ ৬ মাস ধরে সম্পর্ক  এবং সুমন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে  আমার সাথে ৩ বার শারীরিক মেলামেশা করেছে।

তিনি আরো বলেন, ১৮ তারিখে সালিশে সুমনের বাবা আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে এসেছে।  আমি এখানেই আছি এবং থাকব। আমি সুমনকেই বিয়ে করব, তাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। তাকে না পেলে আমি বাঁচব না। আমার আত্মহত্যার জন্য তার পরিবার দায়ি থাকবে।

প্রেমিকার দাদা - দাদি  জানান, তার বাবা - মা এলাকার বাইরে (কুমিল্লায়) থাকায় সুমন তাদের নাতনির সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। পরে যখন ছেলে যোগাযোগ বন্ধ করে অন্যখানে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে তখন আমার নাতনি কোন উপায় না পেয়ে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করেন।

প্রেমিক সুমনের পিতা বলেন, সত্যি যদি আমার ছেলে তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল  তাহলে মেডিক্যাল পরিক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিব।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্ব নাথ বলেন, আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সামাজিকভাবে বিষয়টি নিরসনের জন্য বসছিলাম, কিন্তু সুমনের পিতা কোন সিদ্ধান্তেউপনীত না হওয়ার কারণে প্রেমিকা  আবারও প্রেমিক সুমনের বাড়িতে অবস্থান করছে।  তিনি বলেন, সুমনের পিতা এর পরে কি করবে সেটা একান্তই তার ব্যাপার এ বিষয় আর কোন মন্তব্য করতে চাই না।

২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম‌্যান অনিল কুমার সেন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নির্দেশ দিয়েছি বিষয়টি নিরসনের জন‌্য।