নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে যাদুকাটা নদীতে গঙ্গাস্নান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ৯ই এপ্রিল ২০২১ ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে যাদুকাটা নদীতে গঙ্গাস্নান

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের যাদুকাটা নদীতে জেলা প্রশাসনের জারিকৃত সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্গন করে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নন করছেন। একইভাবে শাহ আরেফিনের ওরসেও তার ভক্তবৃন্দ এসেছেন।


শুক্রবার ভোর থেকেই হাজার হাজার ভক্ত কোনো রকম কার্যবিধির তোয়াক্কা না করে গঙ্গাস্নান করেন যাদুকাটা নদীতে।


এর পূর্বে বৃহস্পতিবার রাতেই হিন্দু ধর্মের সাধক ও বারুণি স্নানের প্রবর্তক শ্রী অদ্বৈত আচার্য্যের জন্মস্থান যাদুকাটা নদী তীরে নবগ্রামে গিয়ে পৌঁছান হাজার হাজার দর্শনার্থী। এ সময় প্রশাসন তাদের বারণ করেও হিমশিম খায়।


এদিকে সচেতন মহল ক্ষোভের সাথে জানান,সরকারী নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধ মানছে না। মানছে না কোন স্বাস্থ্য বিধি। আর প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কোন কঠোরভাবে প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে করানোভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি আরোও ভয়াবহ হবে। এর ফলাফল আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে। দুই ধর্মের দুই আধ্যাতিক সাধকের লাখো ভক্তের আগমনে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়।  


প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করানো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় শাহ আরেফিন (রহ.) এর ওরস,পণাতীর্থ মেলা ও স্নানোৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলোতে জনসমাগম এড়াতে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় এবারের ওরস ও গঙ্গা স্নানোৎসবের সকল ধরনের আয়োজন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।


তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল লতিফ  তরফদার জানান,এবার করোনার কারণে যাদুকাটায় বারুণি স্নানে আসতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে তারা পুণ্যস্নান সম্পন্ন করছেন। তবে আমরা কঠোর হওয়ায় এখন তাদের উপস্থিতি কমেছে।


তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান,করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শাহ আরেফিন (রহ.)এর ওরস ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানোৎসবসহ সকল ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী গঙ্গা স্নান ও পণাতীর্থ বারুণী মেলায় গতবছরের মতো এবারও বন্ধ আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু ধর্মের মানুষজনকে ফিরিয়ে দিলেও অনেকে লুকিয়ে যাচ্ছে।