উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি যে গ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম. কে. রানা - বার্তা প্রধান ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: শুক্রবার ৫ই মার্চ ২০২১ ০১:৩৫ অপরাহ্ন
উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি যে গ্রামে

কাঙ্খিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা দেহেরগতি ইউনিয়নের উওর দেহেরগতি  গ্রামে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অন্য এলাকার চেয়ে অনেক পিছিয়ে এই জনপদ।


গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য নেই পাকা সড়ক ব্যবস্থা। একটি রাস্তার জন্য পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না ধরেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। আসছে বর্ষা মৌসুমের কথা চিন্তা করলেই এ গ্রামের মানুষের চোখে ভেসে উঠে দুর্ভোগের চিত্র। গ্রামবাসীর দাবী রাস্তাটি পাকাকরণ করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর উদ্যোগ নেন।


বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রামপট্টি বাজার থেকে উওর দেহেরগতি গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে থেকে চর মলংগা হয়ে উজিরপুর সীমান্তের কমলাপুর পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। এর মধ্যে দেহেরগতি গ্রামের হাজীবাড়ি থেকে রিপন ঘরামীর দোকান হয়ে উওর দেহেরগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে কাদা মাটি ও ইট বিছানো হেরিংবন রাস্তা।


রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার খালের মধ্যে ঝুঁকে পড়েছে রাস্তাটি। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন গ্রামের কৃষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিকল্প পথে যেতে হলে ঘুরতে হয় ৭/৮ কিলোমিটার রাস্তা। 


বর্ষা মৌসুমে ওই গ্রামের মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলো কাদা-পানিতে ডুবে যায়। এতে মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, রিক্সা-ভ্যান, অটোবাইক, মোটরসাইকেল-সাইকেল চালানো, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।


দেহেরগতি গ্রামের বাসিন্দা রিপন হাওলাদার জানান, ২০০১ শালে দেহেরগতি হাজী বাড়ি মসজিদ থেকে উওর দেহেরগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার এক কিলোমিটারের মধ্যে ইট বিছানার কাজ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে আর কোন সংস্করণ না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গেলে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।


বর্তমানে ওই রাস্তায় কয়েকটি স্থানে পুকুর ও খালের পাশে হেলে পড়েছে। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। আসছে বর্ষা মৌসুমের কথা চিন্তা করতেই তাদের কপালে দুর্ভোগের ভাঁজ পড়ে যায়।


তিনি বলেন, এ রাস্তাটির বেহাল দশায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে না পারায়। ফলে এ গ্রামে কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে কিংবা কোন মুমুর্ষ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন হলে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, এ অ লের জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের একমাত্র এ রাস্তা দুটি অতি শিঘ্রই কারপেটিং করে চলাচলের উপযোগী করা হোক।