জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ৫ই মার্চ ২০২১ ০১:১৯ অপরাহ্ন
জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত

জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটে এ হাসপাতালে অপারেশন থিযেটার চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।


অপারেশনের রোগিদের বাধ্য হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। আল্টাসসোনোগ্রাফ মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ইসিজি মেশিন না থাকায় হার্টের দরিদ্র রোগিরা চিকিৎসা সেবা থেকে বি ত হচ্ছে।


সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ৯ লাখ মানুষের  স্বাস্থ্য সেবার ভরসা এ স্বাস্থ কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলেও জনবলসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তেমন বৃদ্ধি করা হয়নি। হাসপাতালে রোগিদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হয়।


বহি:বিভাগে প্রতিদিন দু’শতাধিক রোগি চিকিৎসা নিতে আসেন। এছাড়াও বর্তমানে করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলছে। করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন লোকজন ছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৫৫ থেকে ৬০ জন মা ও শিশু টিকা নিতে আসেন। এসব সীমাবন্ধতার মধ্যে যে সব রোগি স্বাস্থ্য সেবার  ব্যবস্থাপত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হন তখন তাদেকে পড়তে হয় আরেক ঝামেলায়।


চাতক পাখির ওঁৎ পেতে থাকা  বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির মেডিকেল রি-প্রেজেন্টেটিভগন তাদের ঘিরে ধরে মোবাইলে ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলেন। এতে রোগি ও তাদের স্বজনরা অতিষ্ট হচ্ছে। কতৃপক্ষ নোটিশ দিলেও মেডিকেল রি-প্রেজেন্টেটিভগন বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না। জানা যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসকের পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য রয়েছে। মেডিসিন,্এ্যানেসথেসিয়া, শিশু, সার্জারি ও গাইনী বিশেষজ্ঞের পদগুলো শূন্য থাকায় রোগিরা চিকিৎসা সেবা থেকে বি ত হচ্ছে।


এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অন্য চিকিৎসকগণ রোগিদের সেবা দিচ্ছে। উপজেলায় সাতটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার,একজন সহকারি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন অফিস সহায়কের পদ রয়েছে। তবে সাতটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে একটিতেও নেই মেডিকেল অফিসার,চারটিতে নেই সহকারি মেডিকেল অফিসার, পাঁচটিতে নেই ফার্মাসিস্ট ও তিনটি নেই অফিস সহায়ক।


এছাড়াও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারি ৮৫টি পদের মধ্যে ১৭টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ইউনিয়ন সহকারি মেডিকেল অফিসারের আট পদের মধ্যে আটটি শূন্য রয়েছে।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন চিকিৎসকসহ জনবল সংকট ও অন্যান্য সমস্যা থাকলেও রোগিদের সেবা দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় পদগুলো পুরণে একটু সময় লাগবে।