পঞ্চম ধাপে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ২১ বাসে সহস্রাধিক রোহিঙ্গার যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ.ম.গফুর , উপজেলা প্রতিনিধি উখিয়া- কক্সবাজার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২রা মার্চ ২০২১ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
পঞ্চম ধাপে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ২১ বাসে সহস্রাধিক রোহিঙ্গার যাত্রা

কক্সবাজারের ঘনবসতির শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে পঞ্চম দফায় (প্রথম অংশ) ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের পথে তাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ২১টি বাস।


এসব বাসে প্রায় হাজার খানেক রোহিঙ্গা রয়েছে জানা গেছে। আজ আরেকটি দলেরও যাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেলে এই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে বাসে করে আনা হয়।


জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশে সোমবার বিকেল থেকেই রোহিঙ্গারা সপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। মঙ্গলবার দুপুরে বাসে করে তারা ভাসানচরের উদ্দেশে চট্রগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে পরের দিন নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।


বুধবার সকালে চট্রগ্রাম নৌবাহিনীর জাহাজে করে পঞ্চম দফায় রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসাচনরে পৌঁছবে উল্লেখ করে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) খোরশেদ আলম খান জানান, এবার আরো ৩ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই সংখ্যার হেরফের হতে পারে।


অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন জানান, পঞ্চম দফায় রোহিঙ্গাদের একটি দল উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এবারে কতজন যাচ্ছে সেটি এখন বলা যাচ্ছে না।এই প্রক্রিয়ার শুরুতে গত ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।


এরপর ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের প্রথম অংশে ১ হাজার ৭৭৮ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় অংশে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে ভাসানচরে নেওয়া হয় এবং চতুর্থ দফায় দুই দলে ৩ হাজার ২০ জন পৌঁছান সেখানে। বর্তমানে ৯ হাজার ৭০৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস শুরু করেছেন। এছাড়া এরও আগে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের মে মাসে ভাসানচর নেওয়া হয়।


সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।