পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে কর্তার চেয়ে অধিক ভোল্ট দালালদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোস্তাকিম হোসেন, উপজেলা প্রতিনিধি পাঁচবিবি- জয়পুরহাট
প্রকাশিত: বুধবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে কর্তার চেয়ে অধিক ভোল্ট দালালদের

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসে কমরত কর্মকর্তাদের চেয়ে অধিক ক্ষমতার ভোল্ট এখন দালালদের। অনিয়মই যে অফিসে এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দালাল ছাড়া কাজ করতে গেলে মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও কাজের কাজ হয়না। পক্ষান্তরে দালালের মাধ্যমে কাজ হয় বিদ্যুৎ গতিতে।


জানা যায়,পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানার আবুল কালাম আজাদের ছেলে হানিফ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ছয় হাজার চার’শ টাকা জমা দেয় একটি পোলের জন্য। একটা চার্জার ভ্যান আছে বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্যত্র চার্জ দিতে প্রতিদিন ১২০ টাকা গুণতে হয়। বাড়িতে কারেন্ট নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করি একদিন অফিসের লোক দূরত্ব মেপে বলে একটা পোল লাগবে।


সে অনুযায়ী টাকা জমা দেওয়ার পর অফিসে যে কতদিন গিয়েছি কোথায় পোল কোথায় বিদ্যুৎ। বালিঘাটা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ছাইফুল ইসলামও একই সময়ে একটা পোলের জন্য আঠারো হাজার চার’শ টাকা জমা দিয়ে অফিসে ঘুরেও কাজ না হওয়ায় বিদ্যুতের আশা ছেড়েই দিয়েছেন। ধাওয়াইপুর গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে কামরুল হোসেনও একই পরিমানে টাকা রাইচ মিল করার জন্য জমা দিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের বারান্দায় ঘুড়পাক খাচ্ছেন।


উপজেলার সীতা গ্রামের একাধিক ব্যাক্তির স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর নিখিত অভিযোগে প্রেরণ করেছে। এদিকে সীতা গ্রামের নুরল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান ভোল্টেজ বৃদ্ধির আবেদনের কয়েক দিনের মধ্যেই ৪টি পোল বসানোর কাজ সমাপ্ত করে বিদ্যুৎ অফিস।


চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনে গ্রামবাসি অভিযোগ করে বলেন, মেহেদীকে (সেচ) নল-কুপের সংযোগ দেওয়ার লক্ষে বিদ্যুৎ অফিসের দুই জন ইলেকট্রিশিয়ান মুকুল ও সবুজ এর মাধ্যমে পরিচালক রেজাউল করিম এবং ডিজিএম আব্দুল বারী ২ লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধর অগ্রীম ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা গ্রহন পূর্বক আবেদনের ৪ দিনের মধ্যেই ৪টি পোল বসানোর কাজ শেষ করেন পল্লীবিদ্যুৎ অফিস।


এছাড়া প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরও অনুলিপি প্রেরণ করছেন গ্রামবাসি।এ বিষয়ে পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল বারী বলেন,ওই ঘটনায় ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে। কোন দালাল বা টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানেনা বলেও জানান তিনি।