হিলিতে জাল দলিল সৃষ্টি করে জমি দখলের পাঁয়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: বুধবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
হিলিতে জাল দলিল সৃষ্টি করে জমি দখলের পাঁয়তারা

দিনাজপুরেরর হাকিমপুরে জাল দলিল সৃষ্টি করে জমি দখলের পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া দলিল করার ঘটনায় ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।


অভিযোগে জানা যায়, হাকিমপুর পৌরসভার উত্তর বাসুদেবপুর (কালিগঞ্জ) গ্রামের মৃত আবুল হোসেন সরদার ও মোসলেম উদ্দিন বাসুদেবপুর মৌজার জেএল-৬৮, খতিয়ার নং-১৪৪, দাগ নং- ১৩৩৭.১৩৭৩.১৪৪৬ এর ১ একর ৫ শতক জমির মালিক।


আবুল হোসেন ও মোসলেম উদ্দিন মৃত পর তার ছেলে নওশাদ সরদার  জমি নিজে আবাদ না করে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার তাতীপাড়া সোনাপুর গ্রামের মৃত ফেকু শেখের ছেলে আব্দুুল কুদ্দুসের কাছে বর্গা দিয়ে আসছিলেন।


এমতাস্থায় মোসলেম উদ্দিনের নাতি আনিছুর রহমান বর্গাচাষী আব্দুল কুদ্দুসের কাছে ধান চাইতে গেলে কুদ্দুস জানান আবুল হোসেন ও মোসলেম উদ্দিন তাদের কাছে জমিটি বিক্রি করেছেন। আনিছুর রহমান পৌর ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কুদ্দুস জাল দলিল সৃষ্টি করে জমিটি তার নামে খারিজ করেছেন।


পরে আনিছুর রহমান খারিজটি বাতিলের আবেদন করছে  ১৭৪২ নং হোল্ডিং ৩৩৮/৬-৭ কাগজপত্রমিল না থাকায় ২৬/০৭/২০১৭ তারিখে হাকিমপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসাঃ শুকরিয়া পারভীন খারজিটি বাতিল করেন। পৈতৃক সুত্রে তার দাদা-দাদীর দখলীয় সম্পত্তি নাতি আনিছুর রহমানের নামে হাকিমপুর সাবরেজিষ্ট্রী অফিসে হেবার ঘোষনার দেন।


পরে আনিছুর রহমান হাকিমপুর পৌর তহশীল অফিসে খারিজের জন্য আবেদন করেন। গত ০৪/১১/২০২০ ইং তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুর রাফিউল আলম খারিজ ঘোষনা করেন। এরপর থেকে আনিছুর রহমান নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছেন।  এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারী/২১ আব্দুল কুদ্দুসের বড় ভাই কিতাব উদ্দিনসহ তার ছেলেরা ওই জমিটিতে ক্রয় সুত্রের মালিক মর্মে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আনিছুর রহমান হাকিমপুর থানার লিখিত অভিযোগ করেন।


আনিছুর রহমান জানান, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী আগুন পুড়ে দেয়।এই সুযোগে আব্দুল কুদ্দুস ২০/০২/১৯৬৮ সালে একটি জাল দলিল সৃষ্টি করেন। অথচ আব্দুল কুদ্দুসের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ৪ মার্চ/ ১৯৬৯ উল্লেখ আছে।


জন্মেও আগে তিনি কিভাওে জমি ক্রয় করিলেন তা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়াও আব্দুল কুদ্দ্স, কিতাব উদ্দিন ও প্রতিবেশি শহিদুল ইসলামের দিনাজপুর এডিএম কোর্টে ৭ ধারার মামলা দায়ের করা হয়। তারা আদালতে ওই জমিতে কোন যাবে না মর্মে মুছলেকা দিয়ে আসেন।


এদিকে অভিযোগে প্রেক্ষিতে হাকিমপুর থানায় দুই পক্ষকে ডাকা হলে কিতাব শেখ বলেন, আমার ভাইয়ের দলিল কৃষি ব্যাংক হাকিমপুর শাখায় ঋনের জন্য জমা রাখা আছে।কৃষি ব্যাংক হাকিমপুর শাখার ম্যানেজার মইনুল ইসলাম বলেন, কুদ্দুস শেখের নামে কৃষি ব্যাংক হাকিমপুর শাখায় কোন ঋন নেই।  হাকিমপুর থানার এসআই মাসুদ বলেন, তারা থানায় উপস্থিত হলেও জমির কাগজপত্রাদি দেখাতে তালবাহানা করেন।