পালংখালীর মোছারখোলায় দুই সন্তানের জননীকে নির্মমভাবে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ.ম.গফুর , উপজেলা প্রতিনিধি উখিয়া- কক্সবাজার
প্রকাশিত: শুক্রবার ২২শে জানুয়ারী ২০২১ ০৭:০৩ অপরাহ্ন
পালংখালীর মোছারখোলায় দুই সন্তানের জননীকে নির্মমভাবে হত্যা

কক্সবাজারের উখিয়ায় এক গৃহবধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।গৃহবধুর নাম খতিজা বেগম (২৬)। সে পালংখালী ইউনিয়নের মোছারখোলা জামবনিয়া এলাকার আব্দুল মাবুদের স্ত্রী।বৃহস্পতিবার রাতেই মোছারখোলা জামবনিয়া এলাকায় নিহতের স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজন খতিজা বেগমকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠে।


২২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টার দিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং তুলাতুলি কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে খতিজা বেগম কে।জানা যায়, প্রায় ৭ বছর পূর্বে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার আব্দুর রশিদের কন্যা খতিজা বেগমের সাথে মোছারখোলা জামবনিয়া এলাকার বেচা আলীর পুত্র আব্দুল মাবুদের সাথে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।


দুই বছর দাম্পত্য জীবন পার করার পর ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এরই জের ধরে স্বামী আব্দুল মাবুদ সহ শশুড় শাশুড়ি বেধড়ক মারধর করতো। এনিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছিল।সর্বশেষ গত কয়েকদিন পূর্বে পালংখালী বাজার কমিটির নেতা সহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ করে স্বামীর হাতে তুলে দেন খতিজাকে।


বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে নিহত খতিজার শশুড় বাড়ির আশপাশের লোকজন তার পিত্রালয়ে নির্যাতনের খবর দেয়। নিহতের ভাই মো. আলী সহ আত্নীয়স্বজন গিয়ে শূন্য ঘরে খতিজার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।


নিহতের ভাই মো. আলী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে খতিজাকে নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজন। এরই জের ধরে তাকে নির্মমভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয় বলে দাবী করেন।। তাদের সংসারে ফুটফুটে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে  পাষন্ড স্বামী আবদুল মাবুদ সহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান নিহতের ভাই মো.আলী।


হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ সিকদার জানান, ওই পাষন্ড স্বামী যৌতুকলোভী ও পরকিয়া আসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে সংসারে প্রায়শঃ ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে অনেকবার সালিশ হওয়ার পরেও ঘাতক স্বামীর নির্যাতন থামেনি।


সর্বশেষ বর্বরোচিত আঘাতে মারা গেলে খতিজা কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রমাণ করতে চেয়েছিল।এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ সন্জুর মোর্শেদ জানান, ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।