সরাইলে স্বপ্নের ঠিকানা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২১শে জানুয়ারী ২০২১ ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
সরাইলে স্বপ্নের ঠিকানা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ

পঞ্চাশোর্ধ্ব আনোয়ারা বেগম। সবকিছু হারিয়ে স্বামীকে নিয়ে এই নারী অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জমি নেই, ঘর নেই তাই রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তিনি।


এ প্রতিনিধিকে বুধবার বিকালে উপজেলা অফিস পাড়া'য় আনোয়ারা বেগম বলেন,আজ অফিসার লোক এসে বলেন,আমার নামে নাকি প্রধানমন্ত্রী জায়গা ও ঘর বরাদ্দ দিয়েছে। রেজিস্ট্রি করতে এসে, কি যে শান্তি লাগতাছে বলতে পারতামনা। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আল্লাহ তারে বাঁচিয়ে রাখুক। আমাদের মতো সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। 


অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার এলাকার এ অসহায় নারী পাচ্ছেন নিজের একটি বাড়ি। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পে জমি আর ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে তার নামে।মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাড়ি পাচ্ছেন সারাদেশের প্রায় আট লাখেরও বেশি ভূমি ও গৃহহীন মানুষ।


এরই ধারাবাহিকতায় সরাইল উপজেলায় ১০২টি পরিবার পাচ্ছেন স্বপ্নের ঠিকানা। প্রথম পর্যায়ে বিধবা, প্রতিবন্ধী স্বামী পরিত্যক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ভূমি ও গৃহহীনরা আসবেন এই প্রকল্পের আওতায়।


২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।সরেজমিন, উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,খাস জমি ভরাট করে সারিবদ্ধভাবে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের চালে লাল রংয়ের টিন। দেয়ালের রং থাকবে সাদা। থাকার জন্য রয়েছে দুটি কক্ষ। রয়েছে স্টোর রুম, রান্না ঘর এবং টয়লেটও।


(২0 জানুয়ারি ) অফিস পাড়ায় রেজিস্ট্রি করতে আসা উপকারভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, যারা অন্যের বাড়ি অথবা রাস্তার পাশে ঘর তুলে বসবাস করতেন। নিজেদের একটি ঘর পেয়ে তারা খুশি সবাই।তারা আরও জানান, জমির মালিকানাসহ ঘর পাওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। যতদিন বেঁচে আছেন তার জন্য দোয়া করবেন তারা।


সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল বলেন,সারা দেশের ন্যায় সরাইলউপজেলায় ও কেউ গৃহহীন থাকবে না।আমাদের ১০২ টি ঘরের নির্মাণ কাজ অত্যন্ত সুন্দর ভাবে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ব্যাপক যাচাই বাচাই করে ঘরগুলো তাদের নামে বরাদ্দ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেই উপকার ভোগীদের মাঝে ঘরগুলো বুঝিয়ে দেয়া হবে।


যার ফলে অসহায় পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।তিনি এসময় আরোও বলেন চুন্টায় ৪৬টি মলাইশ৭টি,বিটঘরে৭টি, কালিকচ্ছে-১৫টি শাহজাদাপুর-১৫ ও নোয়াগাঁ ইউনিয়নে-১২টি ঘরের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইউএনও।।