করোনায় টিকা না পাওয়া শিশুদের কী হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৬শে জুন ২০২০ ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
করোনায় টিকা না পাওয়া শিশুদের কী হবে?

মহামারী করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে টিকাদান কর্মসূচিতে এসেছে ধীর গতি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, স্বাভাবিকের তুলনায় টিকাদান প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। কিছু স্থানে লকডাউনের কারণে টিকাদানকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।

আবার অনেক অভিভাবক সংক্রমণের শঙ্কায় কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। কেন্দ্রগুলোতে ফোন করে এবিষয় যথাযথ তথ্য কিংবা সাহায্য না পেয়ে তাদের শিশুর কোন সমস্যা হবে কিনা সেই চিন্তায় পড়েছেন তারা।

শিশুর জন্মের পরপরই ৪২ দিনের মধ্যে দিতে হয় যক্ষা প্রতিরোধে বিসিজি টিকা। আর ১৮ মাসের মধ্যে দিতে হয় ১০ ধরনের টিকা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে টিকা দিতে কিছুটা দেরি হলেও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলবে না বলেই আশ্বস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে টিকা দেয়ার হার কমেছে ৫০ শতাংশের মতো।

তবে শিশু চিকিৎসকরা বলছেন, টিকার ডোজ পুরোটা দিলে শিশু নিরাপদ হয় ঠিকই কিন্তু যদি তিনটি ডোজের দুটি সম্পন্ন হওয়ার পরে একটা মিস করে তাহলে হুট করেই খুব বড় সমস্যায় পড়বে তা নয়। পরবর্তীকালে দ্রুত সেই টিকা নিয়ে নিলে কোন ভয় থাকবে না।

জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলছে, কেবল এপ্রিল মাসে নিয়মিত টিকাদান থেকে প্রায় অর্ধেক শিশু বাদ পড়ে। করোনা প্রতিরোধে দেওয়া সাধারণ ছুটির সময় বাসায় অবরুদ্ধ থাকার কারণে শিশুরা টিকা পায়নি। ইউনিসেফের হিসাবে এপ্রিল মাসে প্রায় ১ লাখ ৪১ হাজার শিশু টিকা পায়নি।

এছাড়া করোনার কারণে অনেক শিশুর পরিবার এলাকা পরিবর্তন করার কারণেও নিদিষ্ট স্থানে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি বলেও মনে করছে ইউনিসেফ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লাইন ডিরেক্টর ডা. শামদুল হক বলেন, টিকাটা যদি সঠিক সময়ে দিতে না পারে, সেটা পরবর্তীতে দিতে পারবে। ২৪ মাসের মধ্যেই টিকা শেষ করা যাবে।

এদিকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, অনেকে ঢাকা শহর ছেড়ে চলে গেছে। তারা চলে যাওয়ার সময় টিকার কাগজটিও হয়তো নিয়ে যাননি। ফলে তারা ফিরে এলেই আবারও তাদের নিয়মিত করে নেয়া যাবে। কেন্দ্রের পরামর্শকদের কাছে গেলেই সেটি সম্ভব হবে। আমাদের ভ্যকসিনের কমতি নেই।

কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে গেলেও কোনো শিশুই নির্ধারিত টিকা'র আওতা থেকে বাদ পড়বে না বলে আশ্বাস স্বাস্থ্য বিভাগের।