নিজ থানার পরোয়ানায় পলাতক ওসি প্রদীপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ.ম.গফুর , উপজেলা প্রতিনিধি উখিয়া- কক্সবাজার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৬ই আগস্ট ২০২০ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
নিজ থানার পরোয়ানায় পলাতক ওসি প্রদীপ

সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়া মেজর সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত মামলায় পলাতক রয়েছেন ওসি প্রদীপ কুমার দাস।আদালতের নির্দেশে বুধবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা রুজু করা হয়। মামলা নম্বর সিআর : ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)।

দন্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ায় সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেভাগে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে গেলেও বাকি আসামীরা পুলিশ লাইনেই রয়েছে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত অন্যান্য আসামিরা হলেন- টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মোঃ মোস্তফা।

এর আগে বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে মেজর সিনহা হত্যার বিচার চেয়ে টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।মামলাটির শুনানীতে সন্তুষ্ট হয়ে তা ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে আমলে নিতে টেকনাফ থানাকে আদেশ দেন আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ্।

বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় র‍্যাবকে।আদালতের আদেশের কপি, সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টস রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়।মামলায় মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের সঙ্গী ও ৩১ জুলাই এর ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে হয়ে কক্সবাজার ফিরছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খান।কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট কারটি টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের চেকপোস্টে পৌঁছালে গাড়িটি পুলিশ থামিয়ে দেয়। সেখানে মেজর রাশেদ নিজের পরিচয় দেন। এরপর উপর দিকে হাত তুলে প্রাইভেট কার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ লিয়াকত আলী পরপর ৩ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনা তদন্তে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্ত্বা বিভাগ। ৪ আগষ্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে তদন্ত কমিটি।