প্রচণ্ড খরতাপে অতিষ্ঠ সরাইলের জন-জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা আগস্ট ২০২০ ০৫:১৭ অপরাহ্ন
প্রচণ্ড খরতাপে অতিষ্ঠ সরাইলের জন-জীবন

ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরাইলে ঈদের দিন থেকেই প্রচন্ড খরতাপে অতিষ্ঠ জন-জীবন। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসের আগমনে প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ পুরো সরাইল। মাসের মাঝামাঝি খরতাপের পর শ্রাবণ মাসেও তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গরমে জন-জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে করে সবচেয়ে বেশি দুরবস্থায় পড়েছে বৃদ্ধা শিশুসহ ও শ্রমজীবী মানুষ। ভ্যাপসা এ গরমে নানা রোগ-ব্যাধির সংক্রমণ বেড়েছে।

শুধু মানুষই নয় প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস প্রাণীকুলেরও। আর তাইতো এক পশলা বৃষ্টির জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা সকলের।। এ অবস্থায় সকলকে বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।সদর আরিফাইল এলাকায় গেলে দেখা যায়, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পানিতে সাঁতার কাঠছে,কেউ টুপুর ডুবে পানির নিচে রয়েছে। ছোট্ট ছেলেরা ঘাটলা থেকে পানির উপড় ছিটকে পড়ছে। কেউ বলছে যতক্ষণ পানিতে থাকি ততক্ষণ আরাম। উঠলে শরীর ভিজে যায়। মাসের শুরুতে কিছু বৃষ্টিপাত হলেও শ্রাবণ মাস গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জন-জীবন। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে ঘরে এবং বাইরে সকল প্রকার মানুষ ও পশু পাখি দুর্ভোগে পড়েছে।

আর তাপদাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভ্যাপসা এ গরমে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।সরাইল উচালিয়া পাড়া মোড় এলাকার রিক্সা চালক আক্তার  হোসেন বলেন,এ মাসে  কয়েকিন হয় প্রচণ্ড গরম পড়েছে তাতে আমরা রিক্সা চালাতে পারছি না।

একটু রিক্সা চালালে গরমে সারা শরীর থেকে প্রচণ্ড ঘাম ঝড়ে। তখন শরীর দুর্বল হয়ে আসে। তখন আর রিক্সা  ভালো লাগে না।বিশ্ব রোড় এলাকায় ওয়ার্কশপ কর্মচারী কুদ্দুস বলেন, মাসের শুরুতে বৃষ্টি হলেও এখন বৃষ্টি না হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে যে হারে গরম পড়েছে তাতে ফ্যান দিয়েও কাজ করা অসহ্য হয়ে পড়েছে। আর বিদ্যুৎ চলে গেলে কারখানার ভেতর থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে !