করোনায় বিপর্যস্ত ক্ষমতাধর আমেরিকাও শিক্ষা হবে কি পৃথিবীর মানুষের?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ৩০শে মার্চ ২০২০ ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
করোনায় বিপর্যস্ত ক্ষমতাধর আমেরিকাও শিক্ষা হবে কি পৃথিবীর মানুষের?

পৃথিবীর সুপার পাওয়ারের দেশ বলতে আমেরিকা কে আমরা জানি।তাঁরা পারে না এমন কোন কাজ নেই , আধুনিক সভ্যতার সকাল ছোঁয়া নিয়ে উন্নতির চরম শিখরে আজ তাঁরা। অর্থ বিত্ত পেশী শক্তি অন্যায় জুলুম সব করারা ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে।অথচ সেই , আমেরিকার বাতাস ভারী হচ্ছে দিনে দিনে।অজানা অদেখা এক ভাইরাসে বিপর্যস্ত সারা বিশ্বের মতো সুপার পাওয়ারের দেশটি ও এই  ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস নামক এক ভাইরাসে এই দেশের পজিটিভ ১লাখ ৩৬ হাজারের এর উপরে।

যা কেবল বাড়ছেই সুপার পাওয়ারের মতো করে বাড়ছে।কেউ যেন থামাতে পারছে না।সবাই কে কেমন যেনও অবরুদ্ধ করে রেখেছে আজ অনেক দিন ধরে, মনে হচ্ছে যার যার আকাশ , বাতাস তিনি মনে হয় সব বন্ধ করে দিয়েছেন সবার জন্য।সবাই অজানা এক ভয়ে বাসার ভিতর বন্দি হয়ে আছেন।ঠিক আমিরিকাতে এই অজানা অদেখা করোনা ভাইরাসে  মারা গেছে ২৫০০ এর বেশী। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজ (NIAID) এর প্রধান ড. ফুছি (Fauci) আজ এক সাক্ষাৎকারে এক লাখ থেকে ২ লাখ আমেরিকান করোনাভাইরাসে মারা যেতে পারে এরকম ভবিষ্যৎবানী করেছেন। 

আমেরিকার নিউইয়র্ক আর নিউ অর্লিন্স বলা যায় করোনাভাইরাসের প্রধান টার্গেট।পুরো আমেরিকার যা আক্রান্ত হয়েছে তার ৫৬ ভাগ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নিউইয়র্কের এবংএখনো নিউইয়র্কের ভাইরাস নমনীয় ফেজে আসার কোন লক্ষণ নাই।এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্তু সোস্যাল ডিসটেন্সিং গাইডলাইন বর্ধিত করেছেন।প্রথম যখন করোনা ভাইরাস চিনের উহান শহরে আঘাত হেনেছিল তখন ও মার্কিন সরকার যথাযত বাবস্তা নিয়েছি যেন তাঁদের দেশে না যেতে পারে কিন্তু থামানো গেলো না।

আমেরিকা এ মুহুর্তে করোনাভাইরাসে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে , শুধু এক শহরেই না সব শহরে কম বেশি প্রতিটি স্টেটে ছড়াচ্ছে বা হানা দিচ্ছে নতুন নতুন শহরে এই করোনা।আর কবে আমেরিকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে এটা বলা সত্যি কঠিন।এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় আমেরিকার সবগুলো স্টেট একসাথে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবেনা।বহু সময় নিবে ,পর্যায়ক্রমে হয়ত এটা হবে। এটা অবশ্য নির্ভর করছে ভাইরাসের গতি প্রকৃতির উপর। 

হ্যাঁ একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস বা অদেখা এক ভাইরাস এ মুহূর্তে পৃথিবীর তার নিয়ন্ত্রণে।তার মর্জির উপর নির্ভর করছে মানুষ কবে ঘর থেকে বের হতে পারবে।শুধু আমিরিকা না সারা বিশ্বে এই ভাইরাস যতদিন পর্যন্তু সচল থাকবে ততদিন পর্যন্তু মানুষের পক্ষে এর বিস্তার রোধ করা প্রায় অসম্ভব বলা যায়।মানুষ চাঁদে পৌছে গেছে, মানুষ আকাশে উড়ে, মানুষ মহাসমুদ্র পাড়ি দেয় অবলিলায়। উত্তাল ঢেউ বাতাসের গতি মানুষ বশে আনার ক্ষমতা রাখলেও মানুষ এ পর্যন্তু পুরোপুরি পরাজিত এই ভাইরাসের কাছে এবং পরাজিত হতে থাকবেই যদি এই ভাইরাস নিজ থেকে চলে না যায়।

তবে আমি মনে করছি ভাইরাস কেবল একটা উছিলা হয়, তবে তা পৃথিবীকে একটা বিরাট সিগন্যাল দিয়ে গেল।এই সিগন্যালটা পরিস্কার: মানুষ তুমি যতই বড়াই করার চেষ্টা করো, যতই বোমা অস্ত্র বানাও না কেন ,সত্যিকারে তোমার কোন শক্তি নেই।বার্তাটা আরও প্রসারিত করে বলা যায় যে,তোমরা সত্যিকারে মানুষ হয় যাও , তোমারা ক্ষমতার দম্ভ বন্ধ করো না হয় এমন শাস্তি পাও।যত দিন তোমরা সত্যিকারে মানুষ না হবে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করবে মানুষ নিয়ে খেলা করবে ঠিক ততদিন আমি ভাইরাস তোমাদের কাছে নতুন নতুন নামে এসে পাকড়াও করবো।