দেশ গভীর সংকটে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১৮ই নভেম্বর ২০২০ ১১:২৯ অপরাহ্ন
দেশ গভীর সংকটে: ফখরুল

বাংলাদেশ গভীর থেকে গভীর সংকটে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে।ফখরুল বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে বলতে চাই, আজকে আমার যে দেশ গভীর সংকটে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের অবশ্যই মওলানা ভাসানীকে অনুসরণ করতে হবে, তার দেয়া দর্শন নিয়ে এগোতে হবে।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলি, কাজ করি, যারা আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, তাদের কাছে মওলানা ভাসানী সত্যিকার অর্থে একজন দেবতার মতো। তিনিই আমাদেরকে দেখিয়েছেন যে, মানুষের কী জন্যে মুক্তি দরকার, স্বাধীনতার দরকার, সার্বভৌমত্ব দরকার।’ফখরুল বলেন, তিনি (মওলানা ভাসানী) সমাজকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি একেবারে শোষিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। সেজন্য যারা সমাজের বিত্তশালী, যারা সমাজে প্রভাবশালী, যারা বিত্তের পাহাড় গড়ে তোলে তারা কখনোই মওলানাকে ভালো চোখে দে্খেনি। সেকারণে সাম্রাজ্যবাদের যারা পূজারি তারা তাকে বলতেন ভায়োলেন্স। আর যারা আধিপত্যবাদের পক্ষে কথা বলেন, তারা তাকে বলেছেন তিনি একেবারেই একজন মৌলবাদী মানুষ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ধার্মিক ছিলেন; কিন্তু একেবারে অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। মওলানা ভাসানী আমাদের সামনে একজন নক্ষত্র। ধ্রুবতারার মতো যে নক্ষত্রকে সামনে নিয়ে আমরা এগুতে পারি। তিনি বাংলাদেশে যে প্রজন্ম সৃষ্টি করেছেন সেই প্রজন্ম হচ্ছে সামনে এগিয়ে চলার প্রজন্ম। যারা সামনে এগিয়ে যেতে চায়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মওলানা ভাসানী ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন. সংগ্রাম করেছেন, পাকিস্তানের ঔপনেবিশবাদ ও তার শো্ষনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং বাংলাদেশকে যারা নিজস্ব সম্পত্তি বানাতে চেয়েছিলো, বাংলাদেশকে যারা নিজস্ব প্রোপর্টি বানাতে চেয়েছিলো, বাংলাদেশের সব কিছুকে যারা নিজেদের বলে দাবি করে তাদের বিরুদ্ধেও তিনি সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যে প্রত্যাহার করা হলো, তার আগে কিন্তু মওলানা ভাসানী সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহারের জন্য সারাদেশে আন্দোলন করেছিলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছিলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে এবং ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল হাই শিকদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,অঙ্গসংগঠনের আনোয়ার হোসেইন, আবদুল কালাম আজাদ, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, হাসান জাফির তুহিন ও মাওলানা ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক শানু বক্তব্য রাখেন।