লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে পেঁয়াজের দাম

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে এমন খবরে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দিনাজপুরের হিলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে কমেছে ৩০ টাকার মতো। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) যে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৮০-১১০ টাকা তা শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিক্রি হয় ৬০-৭০ টাকায়।

হিলি বাজারের আড়তদার দেলোয়ার হোসেন ও মঈনুলসহ কয়েকজন জানান, ভারত গত পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি না করায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, দাম চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে গত মাস থেকে প্রকার ভেদে ৭০-১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বেচা-কেনা হচ্ছে। আর বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় দাম আরও পড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার দেশীয় বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার সকাল থেকে তা কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে বেশি কমেছে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। প্রকার ভেদে এ পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয় যে বিভিন্ন রাজ্যে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কিন্তু ন্যায্যদাম না পেয়ে ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষকদের স্বার্থে এবং পেঁয়াজের দরপতন ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো চিঠি পাইনি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত সময়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গেল বছরের গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে বাড়তে থাকে ভারতীয়সহ দেশীয় পেঁয়াজের দাম। খবর: ইউএনবি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব