গ্যাং কালচারের পেছনে ইউটিউব টিকটক লাইকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২৩শে নভেম্বর ২০২০ ১২:০০ অপরাহ্ন
গ্যাং কালচারের পেছনে ইউটিউব টিকটক লাইকি

ইউটিউব টিকটক বা লাইকির জন্য ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে গ্যাং কালচারে জড়াচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। এ থেকে মারামারি, প্রভাব বিস্তার, এমনকি ধর্ষণের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সীদের অনেকে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, নতুন ধরনের এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।রূপালি পর্দার তারকাদের অনেকে ইউটিউব টিকটক লাইকির মতো সাইটে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন। পিছিয়ে নেই ছোটপর্দার শিল্পীরাও। দর্শকপ্রিয়তা আর আর্থিক লাভের কারণে সেলিব্রেটিরা এসব অ্যাপে ভিডিও শেয়ার করেন। 

তাদের মতো জনপ্রিয়তা পেতে অনেক তরুণ-তরুণী এসব অ্যাপে নানা ভঙিমায় ভিডিও আপ করেছেন। স্থানীয়রা বলেন, ‘দশ বারোজন পোলাপাইন বড় বড় গ্রুপ আসে টিকটক করতে। এরপর ঘুরে ফিরে খাওয়া দাওয়া করে’। ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে তারকা বানানোর লোভ দেখিয়ে অল্পবয়সী কিশোরীদের ফাঁদে ফেলছে অপরাধীরা। তারকা বানানোর লোভ দেখিয়ে চার কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে দেওয়ান রসুল হৃদয়কে আটক করে পুলিশ। মিউজিক ভিডিওর কথা বলে গাজীপুর থেকে পঞ্চগড়ে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একটি চক্রের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। 

অপরদিকে অভিনয় করতে গিয়ে উত্তরায় লাঞ্ছিত হন এক প্রকৌশলী। একে অন্যকে টেক্কা দিতে গিয়ে বিরোধে জড়াচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা। তৈরি হচ্ছে গ্যাং কালচার। অপরাধে জড়ানোয় সম্প্রতি টিকটক অপুসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা। মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার মীর মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, অপরের ক্ষতি হয় এমন কিছু করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু টিনেজাররা একবারে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের এরা এটিকে পছন্দ করে। কিছুদিন পর যেটি তার নিজের জন্য পরিবারের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপরাধে জড়ানো তরুণ-তরুণীদের সংশোধনের জন্য পরিবার, সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।