উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১৯-২০ মৌসুমে লকডাউন পরবর্তী ম্যাচগুলো বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। শেষ ষোল এর দ্বিতীয় লেগ থেকে শুরু হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ। যেখানে হোঁচট খেয়েছে সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ ও সিরি-আ সেরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাস,চেলসি এর মত বড় বড় দলগুলো। কোভিড-১৯ এর পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস লিগ এর কোয়ার্টার ফাইনালসহ সবগুলো ম্যাচ পর্তুগালের মাঠে শুরু হয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনালসহ সেমিফাইনালেও কোনো ম্যাচেই দ্বিতীয় লেগ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ইতালির ক্লাব আটালান্টা ও লিগ ওয়ান সেরা পি এস জি। খেলার প্রথম হাফ-টাইমে দুই দলই একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও ২৭ মিনিটে আসেলিচের গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় আটালান্টা। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার একাধিক সুযোগ নষ্ট করায় আর কোন গোল হয়নি প্রথম আর্ধ্বে বাকি সময়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে উত্তেজনার মাত্র বেড়ে ওঠে। দর্শক শূন্য মাঠেও টানটান উত্তেজনা মধ্যে ছিল পুরো ম্যাচ জুড়ে। পিএসজির যখন বিদায় ঘন্টা বাজতে চলেছে ঠিক ৯০ মিনিটে নেইমারের এসিস্টে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনে মার্কুইন্স। অতিরিক্ত সময়ের ২ মিনিটের মাথায় নেইমারের দুর্দান্ত কারিশ্মা ও এমবাপ্পের এসিস্টে দলের জয়সূচক গোলটি করেন মোটিং। যার ফলে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পিএসজি।
যা চৌপো-মোটিংয়ের লক্ষ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ইতিহাসের সর্বশেষতম নিকটতম গেমজয়ী গোল - পিএসজিকে ১৯৯৪-৯৫ সালে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে।
আজ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে অ্যাথেলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে লাপেজি। শক্তির বিচারে লাপেজির চেয়ে অনেক এগিয়ে অ্যাথেলেটিকো মাদ্রিদ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।