ভারতে রহস্যময় রোগে আক্রান্তদের রক্তে সিসা ও নিকেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৮ই ডিসেম্বর ২০২০ ১০:১৯ অপরাহ্ন
ভারতে রহস্যময় রোগে আক্রান্তদের রক্তে সিসা ও নিকেল

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের এলরু শহরে রহস্যময় রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন এমপি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সেখানে রোগীদের রক্তে প্রচুর সিসা ও নিকেল পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।সরকারি হিসেবে ৫০০ জনের বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগীদের মধ্যে বমি বমি ভাব রয়েছে এবং তারা অচেতন হয়ে পড়ছে। তবে তাদের মধ্যে ৩০০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৯ জন উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে গিয়েছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজেপির এমপি জি ভি এল নরসিমহা রাও স্থানীয় সাংবাদিকদের মুঠোফোনে এক খুদে বার্তা পাঠান। সেখানে বলা হয়, রোগীদের রক্তের নমুনা দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে বেশির ভাগ নমুনায় সিসা, নিকেল ও অন্যান্য ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি ভেনকাইয়া নাইডু অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সসের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁকে বলা হয়েছে, এখানকার বিশেষজ্ঞরা এলরু শহরের চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি এলরু সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। চিকিৎসা কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসার কথা রয়েছে।দেশটি যখন করোনাভাইরাসের মহামারিতে ধুঁকছে, তখন নতুন এ রোগ ছড়াতে শুরু করেছে। করোনায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা রাজ্যগুলোর একটি অন্ধ্র প্রদেশ। এই রাজ্যে আট লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আল্লা কালি কৃষ্ণা শ্রীনিভাস বলেন, রহস্যময় রোগে আক্রান্ত রোগীদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবার পরীক্ষার ফলই নেগেটিভ এসেছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘যে এলাকার লোকজন আক্রান্ত হয়েছে, সেই এলাকা কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। এরপর আমরা এই রোগের কারণ হিসেবে পানি বা বায়ুদূষণের মতো কারণকে বাতিল করেছি। এটি একটি রহস্যজনক রোগ। একমাত্র ল্যাব বিশ্লেষণের মাধ্যমেই এটি জানা সম্ভব।’