কাঁঠালবাড়ী ঘাটে কর্মস্থলগামী যাত্রীর চাপ, যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ৮ই আগস্ট ২০২০ ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
কাঁঠালবাড়ী ঘাটে কর্মস্থলগামী যাত্রীর চাপ, যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে প্রতিটি ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোটগুলোতে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মত। তবে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় এ রুটে ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলছে।

শনিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাট হয়ে কর্মস্থলগামী যাত্রীরা রাজধানীর দিকে ছুটতে থাকে। ফেরিগুলো বিকল্প চ্যানেল দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাটি ঘুরে আসায় পারাপারেও বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। ফেরি অচলাবস্থার কারণে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় ৬ শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন।

কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্রে জানা যায়, ঈদ শেষ হলেও শনিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী কাঁঠালবাড়ী ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মস্থলগামী যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়। এই ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোট ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই এরুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ডাম্ব ফেরিগুলো বন্ধ রয়েছে। আর প্রতিদিন দিনের বেলা সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করলেও সন্ধ্যার পর বন্ধ রাখা হচ্ছে ফেরি। শনিবার সকাল থেকে এরুটে রো রো ও কেটাইপসহ ৮টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলো ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে বিকল্প চ্যানেলের ভাটিতে পালেরচর হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে সতর্কতার সাথে চলছে। এতে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতে আমাদের পাশাপাশি প্রশাসনও কাজ করছে।’

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আব্দুল আলীম বলেন, ‘নদীতে তীব্র স্রোত ও ডুবোচর রয়েছে। ডাম্ব ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রোরো ও কেটাইপ ৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স, কাঁচামালবাহী ট্রাক, জরুরি যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি। খোলা যাত্রী ফেরিতে বেশি পরিমাণে পারাপার হওয়ায় বেশ কিছু যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি কিন্তু ফেরি চলাচল করছে কম, তাই স্বাস্থ্য বিধি শতভাগ নিশ্চিতে আমরা নিরুপায়। তবে চেষ্টা করছি।