দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর খুলল হারামাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ১৮ই অক্টোবর ২০২০ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর খুলল হারামাইন

দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর মুসল্লিরা মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করতে পারবেন। আজ রবিবার থেকে ওমরাহর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এতে কাবা শরীফে দৈনিক ১৫ হাজার মুসলিম ওমরাহ পালন এবং ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মক্কার পবিত্র কাবা শরীফ এবং মদিনার মসজিদে নববী মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এই সংখ্যা দুই মসজিদের ধারণ ক্ষমতার ৭৫ শতাংশ। খবর আরব নিউজের।করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর প্রথম ধাপে ওমরাহ চালু করে সৌদি আরব। দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৬ হাজার মুসলিম ওমরাহ পালন করেছেন। প্রথম ধাপে কারো করোনা সংক্রমণ ঘটেনি বলে জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

আরব নিউজে এক সাক্ষাৎকারে সৌদির হজ এবং ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন জানিয়েছেন, ওমরাহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ওমরাহ পালনকারীদের নিরাপদ রাখতে এমন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত ওমরাহ পালনকারীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। ওমরাহর প্রথম ধাপকে অত্যন্ত সফল হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি।তিনি জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে শুরু করে ওমরাহ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তাদের প্রতি সর্বোচ্চ নজর দেয়া হচ্ছে।

ওমরাহ পালনকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং প্রত্যেককে ডিজিটাল ব্রেসলেট দেয়া হচ্ছে। চালু করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ। এছাড়া ওমরাহ পালনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে।রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ওমরাহর দ্বিতীয় ধাপ। প্রথম ধাপে দৈনিক ৬ হাজার করে লোক ওমরাহ পালন করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হবে। আর নামাজ আদায় করতে পারবেন ৪০ হাজার মুসল্লি।তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সৌদির বাইরের মুসল্লিসহ প্রতিদিন ২০ হাজার মুসল্লি ওমরাহ আর ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

চতুর্থ ধাপে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাভাবিক সময়ের মতো মসজিদুল হারাম ও নববীতে নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা। করোনার ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হয়ে গেলে চতুর্থ ধাপ শুরু হবে। এ ধাপে পবিত্র কাবা শরিফ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।ওমরাহ পালনকারীরা কাবা চত্বরে তাওয়াফ সম্পন্ন করলেও হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা চুম্বনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাবা শরিফের বাইরে অস্থায়ী প্রাচীরের বাইরে থেকে তাওয়াফ সম্পন্ন করছেন তারা। পবিত্র নগরী মক্কার কাবা শরিফের পুরো আঙিনা প্রতিদিন ১০ বার জীবাণুমুক্ত করার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।