অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিন ইউনিক গ্রুপের পরিচালক ও তার স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৬ অপরাহ্ন
অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিন ইউনিক গ্রুপের পরিচালক ও তার স্ত্রী

অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিন পেয়েছেন ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলী ও তার স্ত্রী সেলিনা আলী। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।তাদের আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গাজী মো. শাহ আলম জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আগের দিন সোমবার একই আদালত সমনে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন বলে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুকুর রহমান জানান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর পরীবাগে নূর আলীর বোরাক রিয়েল এস্টেটের বানানো ইউনিক হাইটসের একটি ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিরোধের জেরে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন জালাল আহমেদ স্পিনিং মিল ও শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ।

মামলার নথির বরাত দিয়ে ফারুকুর রহমান বলেন, সরকারি জমির ওপর ভবন নির্মাণ করে ফ্লোর স্পেস বিক্রি বাবদে বাদীর কাছ থেকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন আসামিরা। ২০১৫ সালে ওই ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে বাদীকে বারবার ঘোরাতে থাকেন। এ কারণে মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই আইনজীবী বলেন, গত বছর যখন আদালতে মামলা করা হয়, তখন নূর আলী, তার স্ত্রীসহ ৭ জনকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছিল। মামলা হওয়ার পর বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করতে দিয়েছিলেন। ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে নূর আলী ও সেলিনার বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে।

এদিকে মামলাটিকে সাজানো বলে দাবি করেছেন নূর আলী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা সাজানো মামলা‌। সরকারি জায়গা ইজারা নিয়ে ভবনটি করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ইজারা নেয়ার সময় থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নিবন্ধন না করলে ৩০ শতাংশ বেশি টাকা দিতে হয়। এটা নিয়েই ঝামেলা তৈরি হয়েছে‌।

তিনি আরও বলেন, তারা ফ্ল্যাটের পজিশন নিয়েছে, সেটা ভোগ করছে। কিন্তু সময় মত এর রেজিস্ট্রেশন করেনি। ওই প্রকল্পে আরো ফ্ল্যাট গ্রহীতা আছেন, তাদের ফ্ল্যাট সময়মতো নিবন্ধন করা হয়েছে। সময়মত রেজিস্ট্রেশন না করায় তাদের (বাদী) অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। এই অতিরিক্ত টাকাটা তারা আমাদের দিতে বলছেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের টাকা তো আমার দেয়ার কথা না।