ই-ভ্যালির বাধা নেই ব্যাংক হিসাবে স্বাভাবিক লেনদেনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
ই-ভ্যালির বাধা নেই ব্যাংক হিসাবে স্বাভাবিক লেনদেনে

ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় প্রতিষ্ঠানটিসহ এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের পরিচালিত সব ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।নতুন করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবের স্থগিতাদেশ বাড়ায়নি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।ফলে ই-ভ্যালির ব্যাংক হিসাবে স্বাভাবিক লেনদেনে বাধা নেই।সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৭ আগস্ট ই-ভ্যালির ব্যাংক হিসাব ৩০ দিন স্থগিত রাখতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেয় বিএফআইইউ।তবে নতুন করে ই-ভ্যালির ব্যাংক লেনদেনে স্থগিতাদেশ বাড়ায়নি বিএফআইইউ। ফলে স্বাভাবিক ব্যাংক লেনদেন করতে বাধা নেই প্রতিষ্ঠানটির।ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, ই-ভ্যালি লিমিটেডের নামে এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, এনআইডি নম্বর- স্মার্ট (২৮০৬২০১০৭১) ও এমবি মো. রাসেল এনআইডি নম্বর- স্মার্ট (১৪৮৮২৬৭২৪৪) এর নামে পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ক্ষমতাবলে পত্র ইস্যু তারিখ থেকে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হলো।লেনদেন স্থগিতাদেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ এর ২৬ (২) ধারা বিধান প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া বর্ণিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত হিসাবসমূহের হিসাব খোলার ফরম কেওয়াইসি হিসাব খোলার শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী এবং বর্ণিত সময়ে ওই হিসাবে ৫০ লাখ বা তার বেশি টাকা জমা ও উত্তোলন সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।পণ্য কিনলেই অর্থ ফেরতের অস্বাভাবিক ‘ক্যাশব্যাক’ অফার দিয়ে ব্যবসা করছে বাংলাদেশি ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি।১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দেয়া হচ্ছে। একের পর এক চটকদার অফারে হাজার হাজার গ্রাহক আকৃষ্ট হচ্ছেন।ফলে অল্পসংখ্যক গ্রাহক লাভবান হলেও বেশির ভাগই হচ্ছেন প্রতারিত।

এ ধরনের ব্যবসায়িক পলিসি বাজারে ব্যবসার প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে একচেটিয়া (মনোপলি) অবস্থার সৃষ্টি করছে ই-ভ্যালি, যা আইনের বরখেলাপ বলে মনে করে প্রতিযোগিতা কমিশন।এ অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।অন্যদিকে ই-ভ্যালির প্রতারণা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক তাদের কার্ডে ই-ভ্যালির পণ্য কেনাকাটা স্থগিত করে।