চিরনিদ্রায় আল্লামা শফী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
চিরনিদ্রায় আল্লামা শফী

দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।আজ শনিবার বিকেল তিনটার দিকে হাটহাজারী মাদরাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।এর আগে শনিবার দুইটায় হাটহাজারীতে আল্লামা আহমদ শফীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।এতে ইমামতি করেছেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ মাদানি।এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।মাদরাসার ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভিড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদরাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, জানাজায় কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।স্থানীয়রা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, লোক দেখে মনে হচ্ছে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।চারদিক থেকে ছুটে আসছে আল্লামা শফীর ছাত্র, শিষ্য, ভক্ত ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ।সবার গন্তব্য হাটহাজারী মাদরাসা।শোকার্ত মানুষ দলে দলে কুরআন তেলাওয়াত, খতম ও দোয়া ইত্যাদি করছে।এদিকে রাস্তার দুই পাশে হাজারো গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল।আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকায় রাস্তাঘাটের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।হেঁটে লোকজন মাদরাসায় যাচ্ছেন।অন্যদিকে নাজিরহাট সড়কে দিয়ে আসা লোকজনও হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট পর্যন্ত আসতে পারছেন।সেখান থেকে হেটে মাদরাসায় আসতে হচ্ছে।

জনতার ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।পুরো এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাহপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরও নিয়োজিত করা হয়েছে।এর আগে আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে  হেফাজত ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর মরদেহ হাটহাজারী এসে পৌঁছে।ঢাকা থেকে গাড়িটি ভোরে রওনা হয়।হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর জানাজা ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ চার উপজেলায় বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।তদারকিতে ছিলেন সাত ম্যাজিস্ট্রেট।প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।