পাইকারিতে দাম কমলেও পেঁয়াজের প্রভাব নেই খুচরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
পাইকারিতে দাম কমলেও পেঁয়াজের প্রভাব নেই খুচরায়

হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার পর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে এই নিত্যপণ্যটির দাম পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে।তবে এর কোনো প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। গত দুই দিনে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।খুচরা বিক্রেতারা এখনও কারসাজি করে বাড়তি দরেই বিক্রি করছে।পাইকাররা বলছেন, বাজারে নতুন করে পেঁয়াজ আসায় কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে, তবে খুচরার বিষয়ে তথ্য জানা নেই।আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে। সেখানে কম দামে পেলে খুচরায়ও দাম কমবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিবাজার, খিলগাঁও, কাঁঠালবাগান, মগবাজার, মধুবাগ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজও প্রচুর দেখা গেছে।নয়াবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজারে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৯০-১১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৭ টাকা।ভালোমানের আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।অর্থাৎ পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

মগবাজারে রফিকুল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, গত বুধবার মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।আজ সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৭ টাকা।ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।আর ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।নিম্নমানের ভারতীয় পেঁয়াজ আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন ধরেই স্থির রয়েছে।রফিকুল বলেন, আমরা বাইরে থেকে পেঁয়াজ আনি।প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম উঠা-নামা করে।আমরা চাই পেঁয়াজের দাম কমে যাক। কারণ দাম বাড়ার কারণে এখন আমাদের বিক্রি নেই হয়ে গেছে।দোকান খুলে মাল নিয়ে বসে থাকি ক্রেতা আসে না।

এদিকে পেঁয়াজের বাড়তি দামের সঙ্গে আগের মতই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের সবজি।এর সঙ্গে মুরগি ও ডিমের দামও চড়া। ফলে কয়েক মাস ধরে ভোগানো কাঁচাবাজার সাধারণ মানুষকে আরও বেশি ভোগাচ্ছে।বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা। গত সপ্তাহেও এই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। তবে তার আগে ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছিল।

বিভিন্ন কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা। ফুলকপি (ছোট আকারের), বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। এছাড়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে।এছাড়া কাঁকরোল, লাউ, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা কাঁচামরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি।