২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়তে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১০ই এপ্রিল ২০২০ ০২:১২ অপরাহ্ন
২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়তে পারে

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি আরও বাড়তে যাচ্ছে। এবার ছুটির মেয়াদ সবমিলে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত লম্বা হতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর সার-সংক্ষেপটি প্রস্তুত হয়েছে। তবে এখনো সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসূফ হারুন শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনো ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুমোদন পেলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যতদিন নিয়ন্ত্রণে না আসবে, ততদিন জনগণের চলাচলকে সীমিত করতে সাধারণ ছুটির প্রয়োজন আছে। তবে বিশেষ ও জরুরি পরিষেবাগুলো আগের আদেশের মতোই নির্দিষ্ট নিয়মমেনে চলবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় দফায় ঘোষিত ছুটি অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল অফিস খোলার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়া এখন ১৫ ও ১৬ এপ্রিলকে সাধারণ ছুটির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। তারপর ১৯ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। ২৪ ও ২৫ এপ্রিল যথারীতি সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। সেই হিসেবে আরও ১১ দিন দেশে ছুটি থাকবে। তবে প্রয়োজন হলে ছুটির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। এর আগে প্রথমে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লম্বা করা হয়। এবং সর্বশেষ ১২ ও ১৩ তারিখকে সাধারণ ছুটির আওতায় এনে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি।

তবে সরকারি আগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ছুটির মধ্যেও জরুরি পরিষেবা অর্থাৎ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি খাতের কার্যক্রম চলবে। এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতায় পড়বে না। জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো চালু রাখতে পারবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর যে নির্দেশনা দিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে ৩৩০ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২১ জন। করোনা ঠেকাতে সাধারণ ছুটি চলছে সারা দেশে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।