ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আসছে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:০১ পূর্বাহ্ন
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আসছে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’

নতুন দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণেই ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ নামে নতুন এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

আইসিসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যেও আয়োজন করা হবে এই টুর্নামেন্ট। টি-টোয়েন্টির টুর্নামেন্টে অংশ নেবে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দশটি দল। সেক্ষেত্রে এক আসরে ম্যাচ হবে ৪৮টি, যা বিশ্বকাপের ম্যাচ সংখ্যার চেয়েও বেশি। 

তবে, ওয়ানডের ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপে’ দল থাকবে মাত্র ৬টি। সেক্ষেত্রে এই টুর্নামেন্টের এক আসরে অনুষ্ঠিত হবে ১৬টি ম্যাচ।

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ আসরেও বাড়ানো হবে দলের সংখ্যা। সেখানে ১৬ থেকে ২০টি দলকে দেয়া হবে অংশ গ্রহণের সুযোগ। যাতে ম্যাচও হবে ৫৫টি। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে থাকছে না কোনও পরিবর্তন।

২০২৩-৩১ সম্প্রচার বর্ষচক্রে এই সব টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাচ্ছে আইসিসি। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন্স কাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ ও ২০২৮ সালে। আর ওয়ানডের চ্যাম্পিয়ন্স কাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ ও ২০২৯ সালে। টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনে আগ্রহী পূর্ণ সদস্য দেশগুলোকে আবেদন করতে বলেছে আইসিসি। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, আইসিসির এই নতুন পরিকল্পনায় নাখোশ ক্রিকেটের তিন ধনী দেশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা মানে স্বাভাবিকভাবেই দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সংখ্যা কমে যাওয়া। এখানেই আপত্তি ‘তিন মোড়লে’র। নিজেদের আয়ের দিকটি ঠিক রাখতে নিজেদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য পর্যাপ্ত ফাঁকা সময় রাখার দাবি জানিয়ে আসছে বোর্ড তিনটি। কিন্তু আইসিসির এই নতুন পরিকল্পনা সফল হলে তিন ধনী বোর্ড নিজেদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার সময় কমই পাবে।

সহযোগী সদস্য দেশগুলো ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে সহায়তার জন্য প্রতি বছর অন্তত একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে উপার্যনের মাধ্যম তৈরির প্রস্তাব করেছিল আইসিসি। তাতেও ভেটো দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। 

যাতে রীতিমত হতাশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এ নিয়ে আগামী মার্চে দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য সভায় হবে উন্মুক্ত আলোচনা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে বিষয়টির। 
ইনিউজ ৭১/এম.আর