করোনায় নিউইয়র্কে ৩ প্রবাসীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২০ ১২:০৪ অপরাহ্ন
করোনায় নিউইয়র্কে ৩ প্রবাসীর মৃত্যু

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ও বুধবার (২ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন। আরেকজন ভাগ্নির বিয়ে উপলক্ষে ঢাকায় গিয়ে করোনার ভিকটিম হয়েছেন। এর ফলে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আবারো নিউইয়র্কে প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে নিউ ইয়র্কে করোনায় মারা গেছেন ২৪ হাজারের অধিক। এরমধ্যে কমপক্ষে ২৬০ প্রবাসী রয়েছেন।বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘বসুন্ধরা গ্রুপ’র নিউইয়র্কস্থ উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মেহরাজের ছোটভাই আবাসন ব্যবসায়ী গোলাম রহমান সেলিম (৪৬) করোনায় আক্রান্ত হয়ে এস্টোরিয়াস্থ মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৩ নভেম্বর। চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। বুধবার সকালে তিনি হাসপাতালেই মারা যান বলে জানান গোলাম মেহরাজ। 

তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। তারা ঢাকায় বাস করেন। সেলিমের নামাজে জানাযা শেষে বৃহস্পতিবার লং আইল্যান্ডে ওয়াশিংটন মেমরিয়াল মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রবাসীদের দোয়া চেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মেরাজ। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় মঙ্গলবার মারা গেছেন নিউইয়র্কের আরেক প্রবাসী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ (৬৮)। তিনি লং আইল্যান্ডে জুইশ হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার পরিবারের অপর সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

ভাগ্নীর বিয়ে উপলক্ষে বাংলাদেশে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এলমহার্স্টের বাসিন্দা শেফালি বেগম মিয়া (৫৫)। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নুর ছোট বোন শেফালি গত ১২ অক্টোবর ঢাকায় গিয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ কন্যাসহ। ২০ নভেম্বর ভাগ্নীর আকদ হবার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ভাগ্নী এবং জামাইপক্ষের লোকজন করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে বিয়ে সম্পর্কিত সকল কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। 

গত ১০ নভেম্বর শেফালি বেগমও আক্রান্ত হন। এরপর তাকে ঢাকায় সরকারি কর্মচারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি গত ২৯ নভেম্বর মারা যান। তাকে বিক্রমপুরে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে আবুল বাশার চুন্নু জানান। শেফালি বেগমের অপর কন্যা সন্তান এবং একমাত্র পুত্র বাস করছেন নিউইয়র্কে।

যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বারবিকিউ পার্টি এবং বনভোজনেও অংশ গ্রহণ করেছিলেন শেফালি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববাংলা টিভির চেয়ারম্যান আলিম খান আকাশ। এখনও নিউইয়র্কেরর বিভিন্ন হাসপাতালে শতাধিক বাংলাদেশি চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে। এছাড়া, করোনা টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া সহস্রাধিক প্রবাসী চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।