মা হলেন তরুণী, বাবা হয়নি কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৫ই জুন ২০২০ ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
মা হলেন তরুণী, বাবা হয়নি কেউ

পাবনার সাঁথিয়ায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। রোববার (১৪ জুন) উপজেলার কাশীনাথপুর পদ্মা হাসপাতালে সুস্থ, সুন্দর ও ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে মানসিক প্রতিবন্ধী এক মেয়ে।

প্রশ্ন হলো মানুষরূপী নরপশুর যৌন লালসার শিকার হয়ে জন্ম নেয়া এ সন্তানের বাবা কে? কি হবে তার বংশ পরিচয়? কে নেবে তার দায়ভার?

দীর্ঘদিন ধরে ১৮/২০ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এই তরুণী কাশিনাথপুর, দ্বারিয়াপুর, বিরাহিমপুর,চব্বিশমাইল, দুলাই, চিনাখড়াসহ বিভিন্ন বাজারে ঘোরাফেরা করতো। তার নাম, ঠিকানা সম্পর্কে কেউই অবগত নয়। স্থানীয় হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় তার খাওয়া পরা চলে আর যখন যেখানে যাওয়া সেখানেই তার রাত্রি যাপন। সম্প্রতি মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর সন্তান সম্ভবা হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়।

জনৈক ব্যক্তি ওই নারীর কয়েকটি ছবি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সমাজ সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এতে সাড়া দেন কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ও বিডি এভারগ্রীন (এভারগ্রীন ফ্রেন্ডস সার্কেল) নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার তাকে দুলাই-চিনাখড়ার মধ্যবর্তী গুচ্ছ গ্রামের নিকট থেকে ওই নারীকে নিয়ে এসে কাশীনাথপুর পদ্মা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে।

খবর শুনে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে খাদ্য, ঔষধ ও আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছেন কাশিনাথপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কাশিনাথপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর মো. শফিকুল আলম খান টিটুল, বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আল আমিন, সাব ইন্সপেক্টর শেখ সজিব, পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. সুজন হোসেন এবং বিডি এভারগ্রিনের শেখ শাহিন ও কৌশিক আহমেদ অনিক প্রমুখ।

এ প্রতিবেদককে শফিকুল আলম খান টিটুল বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে মানবিক কারণেই আমি তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।