করোনায় ঢাবির দুই সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা ডিসেম্বর ২০২০ ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
করোনায় ঢাবির দুই সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু

করোনাভাইরাস কেড়ে নিল ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. রতন লাল চক্রবর্তী ও দার্শনিক অধ্যাপক ড. হাসনা বেগমের প্রাণ। তারা দু্জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাতে রতন লালের মৃত্যু হয় বলে তার জামাতা আব্দুল মালেক জানিয়েছেন।আর মঙ্গলবার সকালে ড. হাসনা বেগমের মৃত্যু হয় বলে তার মেয়ে ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম নিশ্চিত করেছেন।

রতন লাল ডায়াবেটিস ও কিডনি সমস্যাসহ নানা জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত ৭ নভেম্বর থেকে পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তিনিসহ পরিবারের সদস্যদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করালে সবারই সংক্রমণ ধরা পড়ে।চিকিৎসায় পরিবারের বাকিরা সেরে উঠলেও অবস্থার অবনতি ঘটায় অধ্যাপক রতন লালকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। সেখানেই সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ঢাকার পোস্তগোলা মহাশশ্মানে মঙ্গলবার এই ইতিহাসবিদের মরদেহ সৎকার করা হয়েছে বলে জানান জামাতা আব্দুল মালেক।

১৯৫১ সালে পটুয়াখালী জেলায় জন্ম নেয়া রতন লাল চক্রবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগে যোগদানের আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছিলেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তার একমাত্র মেয়ে লোপামুদ্রা মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। রতন লাল চক্রবর্তীর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শোক প্রকাশ করেছেন।অন্যদিকে শুক্রবার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে ড. হাসনা বেগমকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মঙ্গলবার বিকালে ড. হাসনা বেগমের দাফন করা হয়েছে বলে তার মেয়ে ঢাবির চারুকলার অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম জানিয়েছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. হাসনা বেগম দার্শনিক ও নারীবাদী লেখক হিসেবেও সমধিক পরিচিত।১৯৩৫ সালে জন্ম নেয়া হাসনা বেগম ২০০০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি চার মেয়ে ও এক সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।