নোয়াখালীতে শ্যালিকাকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:১১ অপরাহ্ন
নোয়াখালীতে শ্যালিকাকে ধর্ষণ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চরলেংটা গ্রামের কিশোরীকে (১৩) জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা আহমদ উল্যাহ (৬৩) বুধবার বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নিকর্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করার পর ওই কিশোরীর ভগ্নিপতি (বড় বোনের জামাই) নুর মোহাম্মদ মামুনকে (৩০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধর্ষক ও লম্পট ভগ্নিপতি মামুন নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরমন্ডলিয়া গ্রামের রিক্সাওয়ালা রাজ্জাক মিয়ার বাড়ির নুরুল হকের ছেলে।কিশোরীর পিতা আহম্মদ উল্যাহর দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ জুন তারিখের বিকেলে ভিকটিমের নিজ বাড়িতে একা পেয়ে তাকে তার ভগ্নিপতি জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে চিৎকার করিতে চাইলে আসামি মামুন তার মুখে হাত চেপে রাখে এবং এ ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ভিকটিম কিশোরী কাউকে কিছু বলেনি। ৪-৫মাস পর ভিকটিমের শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে ঘটনা প্রকাশ পায়। ভিকটিম বিষয়টি পারিবারিক সদস্যদের সকলকে জানায়। সে বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আসামি বাদীর বড় মেয়ে লাইলী বেগমের স্বামী হওয়ায় সংসারের অশান্তি বা সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে বিষয়টি পাবিবারিক ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে বুধবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ০৩ এর ৯(১) মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং-১৩, ১৯/০২/২০২০)। মামলা দায়ের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ আসামি নুর মো. মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। আসামি মামুন বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক জানান, মামলাটি দায়ের এক ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আসামি আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।