আজ মাগুরায় আর.কে ডোর কারখানায় হামলা-ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম শিমুল রানা, জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩রা ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:২৭ অপরাহ্ন
আজ মাগুরায়  আর.কে ডোর কারখানায় হামলা-ভাংচুর

আজ মাগুরার শালিখা উপজেলায় আড়ুয়াকান্দি এলাকায়  সকালে আর.কে ডোর কারখানায় হামলা চালিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় কারখানার অফিস কক্ষ ভাংচুর, ল্যাবটপসহ অফিসে থাকা নগদ ৮-১০ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে বলে দাবি করছে কারখানা কতৃপক্ষ। এ ঘটনায় পুলিশ শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ৯ জনকে আটক করেছে করছে বলে জানা যায়।আর কে ডোর কারখানার সত্ত্বাধিকারী জুয়েল হোসেন জানান, বুধবার বিকালে আমার কারখানার একটি মাল বোঝাই ট্রাক সীমাখালী বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে হরিশপুর গ্রামের রেজাউল নামের এক ব্যক্তির সাথে ট্রাকের ড্রাইভারের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রেজাউল আমার ট্রাকের ড্রাইভারের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে।

এই ঘটনার সূত্র ধরে হরিশপুর গ্রামের জসিম মেম্বার, আঃ আজিজ, তরিকুল, হুমায়ন, করিব ও আলমগীরের নেতৃত্বে প্রায় ২ শতাধিক লোক বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় আমার চালু কারখানায় হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার কারখানার জানালা, দরজার গ্লাস ভাংচুর করে। পরে অফিসে কক্ষে প্রবেশ করে চেয়ার, টেবিল ভাংচুরসহ অফিসে থাকা একটি ল্যাবটপ ও নগদ ৮-১০ লক্ষ টাকা লুট করে। অফিস লুটের পর তারা কারখানায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। হামলার সময় কারখানার কর্মরত শ্রমিকরা নিরাপত্তার জন্য চিৎকার করে পাশ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ছুটে যায়।

তিনি আরো জানান, হামলাকারীদের মুল উদ্দেশ্য ছিল আমার কারখানাটি হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা। হামলার পরপরই আমি পুলিশকে অবগত করি। আমার কারখানায় বর্তমানে এলাকার প্রায় ২ শত নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। হামলার পর কারখানা আংশিক চালু রয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য আমি জেলা পুলিশ সুপারের নিকট সহযোগিতা চেয়েছি।জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আটকের জন্য পুলিশের জোর চেষ্টা চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার আইনে মামলা হবে। আমরা কারখানাটি বন্ধ না করে চালু রাখতে বলেছি। কারণ এ কারখানায় অনেক দরিদ্র শ্রমিক কাজ করে। এলাকায় উত্তেজনা এড়াতে কারখানায় পুলিশ পাহারায় রয়েছে জানা যায়।