লঞ্চডুবিতে মৃত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২৯শে জুন ২০২০ ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
লঞ্চডুবিতে মৃত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার দাবি

রাজধানীর সদরঘাটের লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দুর্যোগ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে লঞ্চযাত্রী ঐক্য পরিষদ।

সোমবার লঞ্চযাত্রী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আরিফা আক্তার পিংকি ও সহ-সভাপতি হাসান আল মেহেদী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘লঞ্চযাত্রী ঐক্য পরিষদ মনে করে এটা স্রেফ একটা দুর্ঘটনা নয়, এটা একটা হত্যাকাণ্ড। অনতিবিলম্বে আমরা দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নিহতদের অধিকাংশই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়া, নিহতদের পরিবারকে বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্যোগ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।’

‘একই সঙ্গে আমরা এও দাবি জানাই প্রত্যেক লঞ্চে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমানো সম্ভব। আমরা প্রায় প্রতিবছরই নদীপথে অসংখ্য দুর্ঘটনা দেখি। কিন্তু এর কোনো সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দেখি না। ফলে এই বিচারহীনতা সংস্কৃতিও অনেকাংশে এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’

এর আগে, সোমবার সকাল নয়টায় বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামবাজার ফরাশগঞ্জ এলাকায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি। লঞ্চটি কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।

ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পুলিশ উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, আটজন নারী এবং তিনজন শিশুর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি দুই মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।