নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে চলাচলের রাস্তা রোধ করতে বাঁশের বেড়া দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর সকালে বোয়ালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে মজিবর রহমান নামক এক ব্যক্তি দীর্ঘদিনের জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে কিছু পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে বাঁশের বেড়া দিতে শুরু করেন। প্রতিবাদ জানাতে গেলে তার সঙ্গে গ্রামবাসীদের তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে এই তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং সংঘর্ষে পরিণত হয়।
এ সময় মজিবরের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, এতে আসলাম হোসেন (৩৬) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তার মা আছমা বেগম (৫৭) ও স্ত্রী ববিতা খাতুন (৩২) সহ আরও কয়েকজন আহত হন। আসলাম হোসেনের মা আছমা বেগম তার ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকে ধারালো কোপ দিয়ে আঘাত করা হয়, এবং তার হাত কেটে যায়।
আহতদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর আসলাম হোসেনের ভাই ইসলাম হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং ২১ নভেম্বর মজিবর রহমানকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সেই রাতেই মজিবরকে আটক করে এবং বর্তমানে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মজিবর রহমান দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে জমি নিয়ে নানা ধরনের বিবাদে জড়িত। তিনি অনেক সময়ই এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন, যার ফলে এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হয়।
বিলকিস ও মামুদা বেগম নামে দুই নারী বলেন, "আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার সময় আমরা প্রতিবাদ করলে মজিবরের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। মজিবর ও তার পরিবার গ্রামবাসীদের অহেতুক উত্ত্যক্ত করে।"
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, "ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মজিবর রহমানকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনায় এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং গ্রামবাসীরা তাদের চলাচলের রাস্তা পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।